ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

যুবলীগ নেতা রাসেল হত্যার বিচার দাবি

স্মারকলিপি দিতে এসে নাজেহাল বিচারপ্রার্থীরা

  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৯, ১৬:১২

স্মারকলিপি দিতে এসে নাজেহাল বিচারপ্রার্থীরা

ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি দিতে এসে লাঠিচার্জ ও নাজেহালের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধাসহ বিচার প্রার্থীরা।

জেলা যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রাসেল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রাসেলের পরিবার ও স্বজনসহ এলাকাবাসী স্মারকলিপি দিতে গেলে রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন ৩ জন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সানাউল হক সানি, বাবু ও আলমগীর নামে ৩ জনকে আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রাসেল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি-ময়মনসিংহ রেঞ্জ ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান শেষে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যান রাসেলের পরিবারের সদস্য, স্বজন ও এলাকাবাসীসহ স্থানীয় কয়েক মুক্তিযোদ্ধা।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে রাসেল হত্যার বিচার দাবিতে স্লোগান দেয় বিচার প্রার্থী ও এলাকাবাসী। এসময় নিজ কার্যালয় থেকে বাইরে এসে পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন রাগান্বিত হয়ে বিচার প্রার্থীদের চলে যেতে বলেন। কথামত বিচার প্রার্থীরা সরে না যাওয়ায় এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় ৩ বিচার প্রার্থীকে টেনে হিচড়ে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে এসময় আহত হয় ৩ জন।

স্থানীয় রমজান আলী জানান, পুলিশি হামলা ও ধরপাড়কের সময় চরমভাবে নাজেহাল হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হবিসহ আরও বেশ কয়েকজন।

৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করার কথা স্বীকার করে জেলা গোয়ন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, স্মারকলিপি দিতে এসে উত্তেজিত জনতা বিশৃংখলা সৃষ্টি করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

জালাল উদ্দিন ওরফে জালাল ডিলার ছেলে রাসেল হত্যার বিচার চেয়ে কথা বলতে গেলে পুলিশ সুপার তাকে গালমন্দ করেন এবং পুলিশকে লাঠিচার্জ করার নির্দেশ দেন। এসময় বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হবি করজোড়ে পুলিশ সুপারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরও পুলিশ বিচার প্রার্থীসহ এলাকাবাসীর উপর লাঠিচার্জ করে। এনিয়ে বিচারপ্রার্থীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুলিশের এমন অমানবিক আচরণে হতভম্ব এলাকাবাসী।

গত ১৩ মে রাতে ময়মনসিংহ নগরীর মৃত্যুঞ্জয় স্কুল রোডের ডিফেন্স পার্টির কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলা যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রাসেল। এই ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় রাসেলের বাবা জালাল উদ্দিন ওরফে জালাল ডিলার মামলা করেন। এই মামলায় সন্দেহভাজন ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে এই ঘটনায় প্রধান আসামি এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় মানববন্ধনসহ স্মারকলিপি দেয়ার আন্দোলনে নামে রাসেলর পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত