ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

সোনা আত্মসাৎ, ৩ পুলিশ সদস্য কারাগারে

  বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ মে ২০১৯, ২৩:১৮

সোনা আত্মসাৎ, ৩ পুলিশ সদস্য কারাগারে

যশোরের শার্শা উপজেলায় ভারতে পাচার করার সময় দুই চোরাকারবারিকে ৮টি সোনার বারসহ আটকের পর তা আত্মসাৎ করার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই তিন পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়োজিত এএসআই তবিবুর রহমান (৩২), এএসআই রঞ্জন কুমার মৈত্র (৩২) ও কনস্টেবল তুষার সরকার (২৮)।

শার্শা থানা পুলিশ জানায়, আত্মসাৎ করা সোনার বারগুলোর ওজন ৮৫ ভরি ১১ আনা, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

পুলিশ জানায়, গত রোববার সন্ধ্যার দিকে শার্শার জামতলা প্রাইমারি স্কুলের পাশ থেকে দুই সোনা চোরাচালানি সাজেদুর রহমান ও আক্তার হোসেনকে এএসআই তবিবুর, এএসআই রঞ্জন ও কনস্টেবল তুষার আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে ৮টি সোনার বার রেখে দেয় তারা। তাদের ক্যাম্পে না এনে গোপনে ছেড়ে দেয়।

সোনা আটকের কোনো তথ্য তারা ক্যাম্প ইনচার্জকে অবহিত না করে নিজেদের কাছে রেখে দেয়। সোমবার এ ঘটনা জানাজানি হলে দুপুরের দিকে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের কাছ থেকে সোনাও উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন মহলে জানানোর পর সোমবার বিকালে তাদের তদন্ত কেন্দ্র থেকে শার্শা থানায় আনা হয়। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে ও সোনা চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয় শার্শা থানায়। (মামলা নং-২৫ ও ২৬ তারিখ-২০/০৫/১৯)। এরপরই তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) সুখদেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্তরা বিষয়টি আমাকে না জানিয়ে নিজেরাই এ কাজ করেছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শার্শা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমিম আলম জানান, এ ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় দুইটি পৃথক মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত তিন পুলিশ সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এবিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনসার উদ্দীন বলেন, পুলিশের তিন সদস্য দুজন সোনা চোরাকারবারিকে মারধর করে তাদের কাছ থেকে আটটি সোনার বার ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন। উদ্ধার করা সোনা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজেরাই হজম করে ফেলেন। পরে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় দস্যুতার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তাদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই দুজন সোনা চোরাকারবারির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত