ভারতের সাথে অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হবে: কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০১৯, ১৪:২০ আপডেট : ২৪ মে ২০১৯, ১৪:২৩
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজিপির জয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তিসহ অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন আশা প্রকাশ করেন।
বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়ে ভারতে গঠন হতে যাওয়া এবারের বিজেপি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনি এবার ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন। তিনি এবার স্পেকুলেশনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইট করেছেন, অভিনন্দন বার্তাও পাঠিয়েছেন। যেহেতু গত মোদি সরকারের আমলে আমাদের সঙ্গে অনেক অমিমাংসিত সমস্যা সমাধান হয়েছে, গত মোদি সরকারের সাহসিকতা ও বিচক্ষণতা প্রমাণ দুই দেশের সীমান্ত সমস্যার সমাধান। আমরা আশা করি, এ ধরনের কাজ যখন সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং সমাধান প্রচেষ্টা খুব দ্রুত হয়েছে। সেজন্য আমরা আশা করি এবার নরেন্দ্র মোদি তার দেশের জনগণের আস্থা আরো বেশি করে পেয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের সঙ্গে অমীমাংসিত তিস্তা যুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয় সেগুলোর সমাধান যে প্রক্রিয়াটা আছে সে প্রক্রিয়াটা আরো দ্রুত হবে।
সরকার খালেদা জিয়াকে জেলখানায় বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলতে চায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি এতোটুকু বলতে চাই, শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক নয়। বেগম জিয়া আইনগত কারণে হয়তো কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু তাকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলতে হবে এ ধরনের অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ সরকার করবে না।
দলের কাউন্সিল ঘিরে সুবিধাবাদীরা প্রবেশ করতে পারে কিনা বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব সুবিধাবাদীদের অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সুযোগসন্ধানীরা চিরদিন এটা করে থাকে। আমাদের দলের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংগঠন তৃণমূল থেকে নেতৃত্বে আনা হবে। কোন জায়গায় কোনো সুযোগ সন্ধানীর স্থান হবে না।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকে মুজিব বর্ষ পালন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফরসহ ঈদের পরে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া মুজিববর্ষের কর্মসূচি মোটাদাগে পালনের কর্মসূচি নেয়া এবং জাতীয় সম্মেলনের আগে সারাদেশে তৃণমূল পর্যন্ত কমিটি গঠনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ আব্দুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ