হয়রানির অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে রিট

মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষসহ তার ২ সহযোগীকে থানায় ১১ ঘণ্টা আটক রেখে হয়রানির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানায় ওসি গোলাম সরোয়ারের বিরুদ্ধে রিট করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল হাসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ।

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

রিটে অন্যান্য যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, বরিশালের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার।

আদালত রিটটি গ্রহণ করে দেশের প্রথম শ্রেণির একজন নাগরিক সিনিয়র আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী মুক্তিযোদ্ধা ও তার ২ সহযোগীকে কেন বিনা দোষে দীর্ঘক্ষণ থানায় আটক রেখে হয়রানি করা হয়েছে বিবাদীদের কাছে জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একই সাথে হয়রানির বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য পুলিশের আইজিপির প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রবীন্দ্রনাথ ঘোষ হাইকোর্টে দায়ের করা ২৩ পৃষ্ঠার রিটে উল্লেখ করেন, গৌরনদী এলাকার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের মাইনরটি পরিবারের স্কুলছাত্র সৌরভ মন্ডল (১০) হত্যাকাণ্ড ও সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি মন্দির ভাঙার ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে গত ১ মে তিনি গৌরনদী থানায় যান। এ সময় তার সাথে ছিলেন মানবাধিকার সংগঠনের অপর ২ সদস্য দিলিপ কুমার রায় ও রসরাজ চৌধুরী।

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ওই দিন গৌরনদীতে মাইনরিটি সম্প্রদায়ের মন্দির ভাঙাসহ নানাবিধ সমস্যার কথা ওসিকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি ক্ষিপ্ত হন। তিনি ক্ষেপে বলেন, আমি কারো চাকর নই। এই বলে তাদের ৩ জনের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নেন।

তিনি আরো জানান, ওসির নির্দেশে এএসআই সোহাগ আমাদের ধাক্কাতে ধাক্কাতে ওসির রুম থেকে বের করে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রুমে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ আমাদের আটক রাখা হয়। এ সময় তাদেরকে কোনো খাবার পর্যন্ত দেয়া হয়নি।

পরবর্তিতে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার, বরিশাল জেলা পুলিশের অপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রাকিব হোসেন ও চাঁদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্তর মধ্যস্থতায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে