ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

কমলনগরে সরকারিভাবে বোরো ধান সংগ্রহ

  কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ মে ২০১৯, ১৬:০৮

কমলনগরে সরকারিভাবে বোরো ধান সংগ্রহ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল হক।

সোমবার দুপুরে উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করা হয়। উপজেলার ৩১ জন কৃষক থেকে সরকারিভাবে ৯ টন ধান সংগ্রহ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতি.) মোহাম্মদ রফিকুল হক জানান, কৃষক উৎপাদিত ধানের প্রকৃত মূল্য পাচ্ছে না। যার কারণে সরকারিভাবে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। উপজেলার বরাদ্দ মতে ৯ টন ধান সংগ্রহ করা হবে। খাদ্য বিভাগ ও কৃষি বিভাগের তথ্যমতে ৩১ জন কৃষকের কাছ থেকে এ ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে উৎপাদন অনুযায়ী মাত্র ৯ টন ধান সংগ্রহ করা খুবই সামান্য। সরকারি মূল্যে প্রতি মণ ধানে ১ হাজার ৪০ টাকা করে দেয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম, খাদ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ আলম ভূইয়া, খাদ্য পরিদর্শক সালা উদ্দিন, উপ কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল্লাহ, উপজেলা আ,লীগের সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম (বাংলা নেতা), কৃষকলীগের সভাপতি ডা. হারুনুর রশিদ, কৃষক হিরন হাওলাদার, নুর নবী, শওকত প্রমুখ।

কমলনগরে ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৮০ হেক্টর জমিতে ২১ শ ৩৬ টন ধান উৎপাদন হয়েছে। বাজারে ধানের প্রকৃত দাম কৃষকরা পাচ্ছে না। যার কারণে সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে। সরকার প্রতি মণ ধান বাজার মূল্য নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ৪০ টাকা। অথচ কৃষক বাজারে প্রতি মণ ধান মাত্র ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। যা কৃষকের উৎপাদন খরচের অর্ধেকের কম।

কৃষক শওকত জানান, ধান চাষে অনেক টাকা ব্যয় হচ্ছে। প্রতি মণ ধানে সব মিলে প্রায় আট থেকে নয়শ টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাজারে বিক্রি করতে হয় মাত্র ৫-৬ শ টাকায়। প্রতি মন ধানে দু,তিন শত টাকা লোকসান দিতে হয়। এভাবে বাজার চলতে থাকলে কৃষকদের আর ধান চাষ করতে হবে না। না খেয়ে মরতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত