পাঠাও-উবারে ফেনসিডিলের চালান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০১৯, ১৯:৩১ আপডেট : ০১ জুন ২০১৯, ১৯:৪৬
দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পণ্যবাহী ট্রাকে করে রাজধানীতে আনা হতো ফেনসিডিলের চালান। এরপর ঢাকার প্রবেশ মুখ থেকে তা সংগ্রহ করে গন্তব্যে পৌঁছে দিতো রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের চালকরা। শনিবার গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চালকসহ ফেনসিডিল চোরাচালান চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১।
আটকরা হলেন- শিবু বর্মন (৪৫), রসেন বর্মন (২০), নূর ইসলাম (৩০), লোকমান হোসেন (২৪), জিহাদ হোসেন (২০) ও সাদ্দাম হোসেন (৩০)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮৫৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯টি মোবাইল ও নগদ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-১) এএসপি মো. কামরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর শালিকচূড়া এরশাদনগর এলাকা থেকে ফেনসিডিলের চালনসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিলের চালান এনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলো।
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, শিবু বর্মন পেশায় একজন ট্রাক চালক। সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের আড়ালে ফেনসিডিল বহন করে ঢাকায় নিয়ে আসতো। চালানপ্রতি ২০ হাজার টাকা পেতো। রসেন বর্মন ট্রাকের হেলপার হিসেবে কর্মরত। সে গ্রামে কৃষিকাজের ফাঁকে শিবু বর্মনের সঙ্গে মাদক পরিবহনে সহযোগী হিসেবে কাজ করতো।
নূর ইসলাম ফেনসিডিলের চালানটি টঙ্গী এলাকা থেকে রিসিভ করতে গিয়েছিলেন। সে গুলিস্থানে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবে জুয়ার বোর্ড দেখাশোনা করে এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত।
আটক লোকমান হোসেন পেশায় পাঠাওয়ের চালক। সে এইচএসসি পাস করে ঢাকায় পাঠাও গাড়ি চালানোর পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। লোকমান তার সহযোগী জিহাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ফেনসিডিলের চালান রিসিভ করতে গিয়েছিলেন।
আটক সাদ্দাম হোসেন উবারের গাড়ি চালক। তার গাড়িতে করেই চালান রিসিভ করতে আসেন লোকমান ও জিহাদ। সাদ্দাম উবারের গাড়ি চালনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
ডিপি/
