ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে অ্যাসিড মেরেছিল: সানজারির ভাই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ জুন ২০১৯, ১৭:৫৭

গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে অ্যাসিড মেরেছিল: সানজারির ভাই

গায়িকা মিলার সাবেক স্বামীর গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে তার সহকারী অ্যাসিড ছুড়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সানজারির ভাই।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে অ্যাসিড হামলার বর্ণনা তুলে ধরেন বৈমানিক এস এম পারভেজ সানজারির ভাই। মিলা ও তার সহকারী ‘কিম জন পিটার হালদার ওরফে পিটার কিমের গ্রেফতারের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সানজারি পক্ষে তার ভাই ও এইড ফর মেন নামের একটি সংগঠন।

সানজারির ভাই অ্যাডভোকেট আলামিন খান বলেন, ভাইয়া বাইক নিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় সামনে এসে পড়ে কিম। বলতে থাকে- আমাকে বাঁচান। আমাকে মিলা মেরে ফেলবে।

তিনি বলেন, গাড়ি থামাতেই অ্যাসিড নিক্ষেপ করে সে। শরীরে অ্যাসিড পড়তেই চিৎকার করতে থাকে ভাইয়া। তার শরীর যতটা পুড়েছে, সঙ্গে সঙ্গে পানি ঢালা না হলে আরো অনেক অংশ পুড়ে যেত।

অ্যাডভোকেট আলামিন খান বলেন, কিমের আর্তনাদ শুনে ভাইয়া গাড়ি থামায়। এই সময় সেই রাস্তার অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মিলা। তাকে দেখেই দুর্ঘটনা আন্দাজ করতে পারেন ভাইয়া। ততক্ষণে অ্যাসিড মারা হয়ে গেছে। তার গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে অ্যাসিড মারা হয়েছে। যাতে করে সারা জীবনের জন্য সে বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। হাত, পেট ও শরীরের আরও বেশ কিছু অংশ অ্যাসিডে ঝলসে গেছে তার। মাথায় হেলমেট পরা অবস্থায় ছিলেন বলে তার মুখে অ্যাসিড মারা সম্ভব হয়নি। দুঃখের বিষয় হলো এখনও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হলো না।

গত ৪ জুন অ্যাসিড দমন আইনে গায়িকা মিলার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন পারভেজ সানজারির বাবা এস এম নাসির উদ্দিন। উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি (নম্বর-৫) দায়ের করা হয়। সেই মামলার এজাহারে মিলা এবং তার সহকারী পিটার কিমকে অভিযুক্ত করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার সকাল ১০টায় মানববন্ধন করেন সানজারির ভাই ও এইড ফর মেন নামের একটি সংগঠন।

মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন এইড ফর মেন সংগঠনের আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জন। এছাড়া মানববন্ধনে সানজারির ভাই অ্যাডভোকেট আলামিন খান, এইড ফর মেন- এর আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট কাউসার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২ জুন সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় পথে এই হামলার শিকার হন সানজারি। গত ২ জুন থেকে ৯ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ৬০২ নাম্বার কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

এর আগেও গত ২১ এপ্রিল আদালতে মিলার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন পারভেজ সানজারি।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত