ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

লঞ্চ সেবার নামে চাদর বানিজ্য

  বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০১৯, ২৩:৫৪

লঞ্চ সেবার নামে চাদর বানিজ্য

লঞ্চ ভ্রমণের আনন্দ একটু আলাদা। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলবাসীরাই লঞ্চে যাতায়ত করে থাকে। তবে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো স্বল্প খরচে সর্বদাই নৌ-পথে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু বিশেষ কোন ছুটি আসলেই এসব মানুষকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে আর গুনতে হয় নির্দিষ্ট ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ টাকা। এমন প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে বরগুনার আমতলী লঞ্চ টার্মিনালে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, লঞ্চ কতৃপক্ষ রীতিমতো চাদর বিছিয়ে রেখেছেন। কোথায়ও তেমন কোন জায়গা খালি পাওয়া যায়নি। তবে নিরীহ অনেক সাধারণ মানুষ না বুঝেই বিশেষ সেবা মনে করে বসে পড়েন বিছানো চাদরে। আর বসছে তো ফাঁসছে দুই থেকে তিন শত টাকার জালে। মাঝে মধ্যে যাত্রীদের সাথে মীমাংসা না হলে হতে হয় লাঞ্ছিত। এমনকি অনেক সময় লঞ্চ কতৃপক্ষ অসহায় যাত্রীদের গায়ে হাত পর্যন্ত তোলেন- এমন অভিযোগ সাধারণ যাত্রী ও স্থানীয়দের।

মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষগুলো পড়েন কেবিন বানিজ্যে। কেবিন বুকিং দিতে গেলে কতৃপক্ষ দাবি করেন সব বুকিং হয়ে গেছে। কিন্তু নির্দিষ্ট ভাড়ার চেয়ে একটু বেশি টাকা দিলেই মিলে যায় কেবিন।

তাছাড়া আমতলী ও তালতলী এই দুই উপজেলার মানুষের নৌ-পথে যাতায়াত করার একমাত্র মাধ্যমই আমতলী লঞ্চ ঘাঠ। কিন্তু এত জনবহুল দুই উপজেলার মানুষের কথা না ভেবে স্বার্থলোভী লঞ্চ মালিকরা ত্রুটি ও ফিটনেস বিহীন ছোট লঞ্চ দিয়েই সেবা দেয়। এতে সর্বদা জীবনের ঝুঁকিতে থাকতে হয় এসব মানুষকে। অনেক সময় বৈরি আবহাওয়ার সময় যাত্রাগামী মানুষ ভেবে থাকে এটাই তাদের জীবনের শেষ দিন।

একাধিকবার সচেতন মহল ও সেবামূলক অনেক সংগঠন বড় লঞ্চের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলেও তা কোন কাজে আসেনি। এমনকি পরিবর্তন হয়নি সেবার মানও।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোন সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।

আমতলী মডেল থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া বেআইনি। আমরা বিশেষ ছুটিতে লঞ্চ টার্মিনালে তদারকি করি আর অনিয়ম কিছু পেলে আইনের আওতায় নিয়ে আসি। ভবিষ্যতে এমনটা বহাল থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত