ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

স্বাস্থ্য বীমা চালুর পরিকল্পনা আছে সরকারের

স্বাস্থ্য বীমা চালুর পরিকল্পনা আছে সরকারের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য বীমা চালুর পরিকল্পনা আছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতীতে ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক স্বাস্থ্য বীমা কার্যক্রম চালু করেছি।’

জাতীয় সংসদে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. রুস্তম আলী ফরাজী (পিরোজপুর-৩) এর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হেলথকেয়ার ফিনান্সিং স্ট্র্যাটেজি ২০১২-২০৩২ প্রণয়ন করেছে। প্রণীত স্ট্র্যাটেজির অধীন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে প্রাথমিকভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) শীর্ষক পাইলট কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এসএসকে কর্মসূচির আওতায় টাঙ্গাইল জেলার তিনটি উপজেলা অর্থাৎ কালিহাতী, ঘাটাইল ও মধুপুরে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের ৭৮টি ভর্তিযোগ্য রোগের বিনামূল্যে অন্তঃরোগী সেবা প্রদান করা হচ্ছে। অবশিষ্ট ৯টি উপজেলায় পাইলটিং সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসএসএফ পাইলটিং সফল হলে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কালিহাতীতে ২৭ হাজার ৮৪১টি, ঘাটাইলে ২৭ হাজার ২৩২টি ও মধুপুরে ২৬ হাজার ৪৫৫টি দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত কালিহাতী উপজেলায় ২৭ হাজার ৮৪১টি, মধুপুরে ২৬ হাজার ২১৮টি এবং ঘাটাইলে ২৭ হাজার ১১৮টি এসএসকে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বেনিফিট প্যাকেজে রোগীর সংখ্যা ৫০টি থেকে ৭৮টি করা হয়েছে। এসএসকের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

৩০ লাখ শহীদকে চিহ্নিত করার পরিকল্পনা

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত গণকবর সংরক্ষণ করার বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ প্রকল্পের আওতায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও পরবর্তী সময়ে পরলোকগত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ হাজার সমাধিস্থল সংরক্ষণ করা হবে। তবে ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারাদেশে ৩০ লাখ গণশহীদদের চিহ্নিত করা এখনও সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এ তথ্য জানান।

টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সংসদ নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেইজ প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত তালিকার বাইরে যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা থেকে থাকেন তা চিহ্নিত করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। ওই তালিকার অংশ হিসেবে বর্তমানে ৫ হাজার ৭৯৫ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, ঠিকানা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেসামরিক শহীদ ২ হাজার ৯২২ জন, গেজেটভুক্ত সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ ১ হাজার ৬২৮ জন, গেজেটভুক্ত বিজিবি’র শহীদ ৮৩২ জন এবং গেজেটভুক্ত শহীদ পুলিশ ৪১৩ জন।

সংসদ নেতা বলেন, ১৯৭১ সালের ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারাদেশে ৩০ লাখ গণশহীদদের চিহ্নিত করা এখনও সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত