শ্যালিকাকে ছেলের ধর্ষণের পর হত্যা, বাবার আত্মহত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০১৯, ০০:২৮
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ছেলে তার শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার খবর শুনে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গোসাইপুর থেকে বসু মিয়ার (৫০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অন্যদিকে ভোরে সদর উপজেলার অষ্টগ্রাম থেকে পুলিশ ওই অভিযুক্তকে আটক করে।
নাঈম ও বসু মিয়া জেলা শহরে নৈশ প্রহরীর কাজ করেন। বসু মিয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, বসু মিয়ার ছেলে তার শ্যালিকাকে বাড়ি এনে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
নবীনগর থানার এসআই রনি রানা বলেন, বসু মিয়া শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গোসাইপুরে তার খালাত ভাই শহিদ মিয়ার বাড়ি বেড়াতে আসেন। সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেন।
তিনি বলেন, ছেলের এই অপকর্মের গ্লানি সইতে না পেরে বসু মিয়া আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নাঈমের স্ত্রী জানান, তার স্বামী গত সোমবার বাবার বাড়িতে খবর দিয়ে তার (স্ত্রীর) বোনকে বেড়াতে আসতে বলেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তাদের মেয়েকে খাওয়ান। জুস খেয়ে মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর স্ত্রীর বোনকেও জুস খেতে বললে সে খায়নি। কিন্তু তার স্ত্রী খেয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বামী জুসের সঙ্গে অজ্ঞান হওয়ার ওষুধ মিশিয়ে আমাকে খাইয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছোটো বোনকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর তার কাছে গিয়ে দেখি তার শরীর রক্তাক্ত। স্বামীই আমার বোনকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমি তার ফাঁসি চাই।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই