ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

মহেশপুরে খাদ্য অধিদপ্তরে ধান-চাল ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম

  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০১৯, ১৮:৫৩

মহেশপুরে খাদ্য অধিদপ্তরে ধান-চাল ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম

সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়নে এবং জনগনের সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় কর্মসূচিতে

মহেশপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খোন্দকার তাজ উদ্দিন আহমেদ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছেন। ধান ক্রয়ে কোন ভাবেই তার

অনিয়ম-দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। মহেশপুরে ধান ক্রয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অধিদপ্তরে চলছে ব্যাপক অনিয়ম আর

দুর্নীতি।

মহেশপুর কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, এবছর প্রান্তিক কৃষকদের থেকে সরকার ধান ক্রয়ের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, যা একজন প্রান্তিক কৃষক প্রতিমণ ধান ১০৪০ টাকা দরে ১২৫ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ৩ টন ধান সরকারের কাছে বিক্রয় করতে পারবে।

সেখানে সকল প্রান্তিক কৃষক যাতে তাদের ধান বিক্রয় করতে পারে সে লক্ষে প্রতিটি কৃষকের কাছ থেকে ১ টন করে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। এবং এলাকার মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করা হচ্ছে। আর এই সব ক্রয় কাজে মহেশপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে কমকর্তায় দেখভাল করছেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানেনা যে, উপজেলাতে কতজন কৃষকের তালিকা দেওয়া হয়েছে। আর এইসব ধান ও চাল কাদের কাছ থেকে ক্রয় করা হচ্ছে।

এবিষয়ে মহেশপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে গেলে দেখা যায় মহেশপুর পৌর এলাকার ইমতিয়াজ পারভেজ ও তার ভাই মিজানুর রহমান দুজনের স্লিপে স্বাক্ষর করতে এবং বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের একই পরিবারে তিন-চার জনের ধান ক্রয়ের স্লিপ বিতরণ করতে।

যেখানে কৃষক তার ধান বিক্রয়ের কাগজ নিজে নিয়ে আসার কথা সেখানে ১০ জনের স্লিপ ২জন নিয়ে এসেছে স্বাক্ষর করতে। তিনি কোন যাচাই বাছাই না করেই স্লিপে স্বাক্ষর করে দিলেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খোন্দকার তাজউদ্দিন আহমেদের কাছে কৃষকের তালিকা ও মিলারদের তালিকা চাইলে তিনি বলেন, আপনারা একটা দরখাস্ত দেন তারপর আমি আপনাদের তথ্য দিবো। আর আমাদের কাছে কোন কৃষকদের তালিকা বা মিলারদের তালিকা নাই। আর আমরা আপনাদের দিতে বাধ্য নয়।

তার এই আচরণেই প্রকাশ পায় তিনি দুনীতির ভিতর দিয়ে হাঁটছেন। প্রান্তিক কৃষক তো দুরের কথা বিত্তবান ছাড়া সব কৃষক তালিকার বাইরে রয়েছে। ধান ক্রয়ে উঠেছে চরম দুর্নীতির অভিযোগ।

মহেশপুর উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ রুহুল আমিন জানান, আমি এখানে ১মাসও হয়নি যোগদান করেছি। তবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের তথ্য গোপন করা মোটেও উচিত হয়নি। তথ্য গোপন করা আইনত অপরাধ।

তিনি বলেন, আমাদের অফিসের তথ্য অনুযায়ী মহেশপুর উপজেলাতে মোট ৬৪,০০০(চৌষট্টি) হাজারেও বেশি কৃষক আছে। এদের মধ্যে অনেক কৃষদের তালিকা দেওয়া হয়েছে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে। ঠিক কতগুলো কৃষকের তালিকা দেওয়া হয়েছে সেটা সঠিক করে বলতে পারবো না। কিন্তু নতুন করে সংশোধন করে ৪৫০ জন কৃষকের তালিকা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত