ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

উত্তরে পাইকারি বাজারে কমছে সবজির দর

  নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০১৯, ১৬:১২  
আপডেট :
 ২৯ জুন ২০১৯, ১৭:০৭

উত্তরে পাইকারি বাজারে কমছে সবজির দর

পাইকারিতে সবজির বাজার দর কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ, পটল, ঢেঁড়স আর ঝিঙের দর নেমেছে সবচেয়ে বেশী। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন অন্যান্য সবজি কম দরেই বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে। অন্যদিকে বাজারে কচু ও লাল মুলাসহ উঠতে শুরু করেছে বর্ষা মওসুমের নতুন কিছু সবজি।

উত্তরে সবজি উৎপাদনের বড় জেলা নওগাঁর স্থানীয় পাইকারি হাট ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। বর্ষাইল, কৃত্তীপুর, বদলগাছী ও পাশের তিলকপুর হাটেও সবজির বাজার দর কমেছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সব ধরনের সবজিতেই দর কমেছে। ঈদের পর থেকে এ পর্যন্ত কিছু-কিছু পণ্যের দর অর্ধেকে নেমে এসেছে। ক্রমেই নিন্মমূখী হচ্ছে সবজির বাজার দর। কৃষক পর্যায় থেকে সরবরাহ বাড়ার কারণে দর কমছে বলে তারা মন্তব্য করেছেন।

চলতি বাজারে পাইকারিতে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৬ টাকা থেকে ৭ টাকায়। এছাড়া কাঁচা মরিচ ১৫ টাকা, ঢেঁড়স ৮ টাকা, ঝিঙে ৮ থেকে ১০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন জাতের করলা ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, নতুন মুলা ৩৫ টাকা ও গুটিকচু বা বইকচু ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া একেকটি মাঝারি মিষ্ট কুমড়া ২০ থেকে ২৫ টাকায়, জালি কুমড়া ৮ টাকা, ওল ৩০ টাকা ও মানকচু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজধানী ও অন্যান্য বড় শহরে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় সারাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিমাণ সবজি নিয়ে আসছে। বেশী আমদানির ফলে দর কমেছে।

তবে বাজারে কম দাম পেয়ে এর জন্য চাষিরা ব্যবসায়ীদেরকে দায়ী করেছেন। চাষিরা বলছেন, খুচরা বাজারে এখনও বেশী দরেই সবজি বিক্রি হচ্ছে। অথচ পাইকারিতে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তারা। ব্যবসায়ীরা বেশী মুনাফা করতে নানা অজুহাতে কম দরে চাষিদেরকে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য করছে।

চাষিরা জানান, দীর্ঘ খরার কবলে পড়ে রমজানের শুরুতে বাজারে চাহিদা মত সবজি সরবরাহ করতে পারেননি। মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু আশানুরূপ দর না পেয়ে কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত