ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তথ্য

দ্বিগুন হয়েছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০১৯, ১৮:৫১

দ্বিগুন হয়েছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা

দেশে ভেজাল ও ফরমালিনযুক্ত খাবার গ্রহণ, ধূমপানসহ নানা কারণে প্রতিবছর ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে ক্যান্সার চিকিৎসা ও হাসপাতাল কম হওয়ায় ক্যান্সার রোগী ও অভিভাবকগণ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ থেকে ভুক্তভোগীদের লাঘবের জন্য ইতিমধ্যে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে একটি করে আধুনিক চিকিৎসা সম্বলিত স্পেশাল ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই তথ্য দেন। স্পিকারের সভাপতিত্বে বিকালে এ অধিবেশন শুরু হয়।

নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে ক্রমান্বয়ে বহুমূত্র (ডায়াবেটিক) রোগের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২০১০ সালে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গত আটবছরে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থাৎ বলায় এ বৃদ্ধির হার দ্বিগুনের বেশি। এ রোগ নিয়ন্ত্রণে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে এবং চলমান বলেও জানান তিনি।

শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আইপিইউ সম্মেলনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গিকার করেছিলেন ২০৪০ সালের মধ্যে দেশ তামাকমুক্ত হবে। তার ওই অঙ্গিকার বাস্তবায়নে ওই সময়ের মধ্যে তামাক নির্মূল করতে চাই।

মোঃ মসিবুর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিদেশী ওষুধ দেশীয় বাজারে বাজারজাতকরণের পূর্বে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর হতে আমদানীকৃত ওষুধের নিবন্ধন গ্রহণ করতে হয়। তিনি বলেন, বিদেশী ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে। মোঃ মুজিবুর হকের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড, বার্ণ ইউনিট করিবার পরিকল্পনা আপাতত নেই। তবে, ঢাকা মেডিকেলে এ সংক্রান্ত রোগীর চাপ কমাতে ঢাকার বাইরে আপাতত ৫টি মেডিকেল কলেজে বার্ণ ইউনিট স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)’দের চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের কোন পরিকল্পনা নেই। যে কর্মরত সকল জনবল ট্রাষ্টের আওতায় সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী সকল সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত