ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০১৯, ২০:৫৩  
আপডেট :
 ১২ জুলাই ২০১৯, ২১:৫৩

তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি

ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি প্রবাহ দোয়ানি পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যার পর ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ও চরাঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ড রেড এলার্ট জারি করেছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। জেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে,পানিবন্দি রয়েছে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা, চরদহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার-পশ্চিম কাশিরাম, চর বৈরাতী, নোহালী, শৈলমারী, ভোটমারী, হাজিরহাট, আমিনগঞ্জ, কাঞ্চনশ্বর ও রুদ্ধেশ্বর, আদিতমারী উপজেলার চণ্ডিমারী, দক্ষিণ বালাপাড়া, আরাজি শালপাড়া, চরগোর্দ্ধন ও সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছা, রাজপুর, তিস্তা, তাজপুর, গোকুণ্ডা, মোগলহাট, বনগ্রাম।

এদিকে,ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তাপাড়ের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ঢলের গর্জনে পানিবন্দি এসব মানুষের চোখে এখন ঘুম নেই।

তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে বিকেল ৩টা থেকে পানি আরও বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে হঠাৎ উজানের ঢলে পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ব্যারাজ রক্ষায় ওই এলাকা ও চরাঞ্চলে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধরলা নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, আমি বন্যা এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখছি। বন্যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত পরিবারগুলো জন্য ১১শ মেট্রিক টন চাল, ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চাল বিতরণ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

এদিকে, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানান,টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের ১০ জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। আগামী কয়েক দিন ভারী বর্ষণ হতে পারে। ফলে এসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত