ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘জিয়া হত্যাকা‌ণ্ডে সবচেয়ে বেশি লাভবান খালেদা জিয়া’

  নিজস্ব প্র‌তি‌বেদক

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০১৯, ১৫:০৪  
আপডেট :
 ১৩ জুলাই ২০১৯, ১৬:২৮

‘জিয়া হত্যাকা‌ণ্ডে সবচেয়ে বেশি লাভবান খালেদা জিয়া’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেগম খালেদা জিয়া সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘১৬ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর কারণে তি‌নি দেশে দুইবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর বিএনপির মত একটি দলের চেয়াপারসনের পদ পেয়েছেন। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের কারণে সবচাইতে বেনিফিসিয়ারী বেগম খালেদা জিয়া। জিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির উর্ধ্বতন নেতারা জড়িত কি-না সেটি খুঁজে বেড় করা দরকার। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আপনারা দুই বার ক্ষমতায় ছিলেন জিয়া হত্যার মামলা করলেন না কেনো? মামলাটা চালালেন না কেনো। এই রহস্যটা খুঁজে বেড় করা দরকার।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনা অফিসারকে হত্যা করেছে। ছুটিতে থাকা সেনাবাহিনীর অফিসারকে ধরে এনে ফাঁসি দেয়া হলো। সে জানলো না কি কারণে তাকে ফাঁসি দেয়া হলো। এভাবে বিনাবিচারে শতশত সেনাবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করেছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমি মনে করি জিয়াউর রহমান ৭৫ এর ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি কমিশন গঠন করে যারা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত তাদের বিচার করা প্রয়োজন। তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে।

এসময় তারেক রহমানের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দৈন্য দশা একজন নেতা খুঁজে পেলেন না, তাই তারা ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং দুর্নীতি মামলার আসামি তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করলেন। তিনি সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে বসে নানা কথা বলেন। রাজনীতি করতে হলে সাহস থাকতে হয়। রাজনীতি করতে হলে বুলেটের সামনে দাড়াতে হয়। যে রাজনীতিবিদ দলের নেতৃত্ব দিতে পারে না। সে রাজনীতিবিদ সঠিক রাজনীতিবিদ নয়।

সংগঠনের সহ-সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত