ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ওপারে আন্দোলন, বেনাপোলে আমদানি বন্ধ

  বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৮:৩৮  
আপডেট :
 ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৮:৪২

ওপারে আন্দোলন, বেনাপোলে আমদানি বন্ধ

ভারতের বনগাঁ ট্রাক মালিক সমিতি ও ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির হঠাৎ ডাকা ধর্মঘটের কারণে বেনাপোলে সাত ঘণ্টা আমদানি বন্ধ ছিলো। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত চলে ধর্মঘট। এসময় দুই দেশের মধ্যে আমদানি বন্ধ থাকলেও আন্দোলনকারীরা রফতানি কার্যক্রমে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। দীর্ঘ সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেলে আবারো বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত নাইট গার্ড, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের কাছ থেকে বকশিসের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। টাকা না দিলে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়। এসবের প্রতিবাদে সোমবার সকালে পেট্রাপোল চেকপোস্টে মাইকিং করে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে না পাঠাতে নির্দেশ দেয় ওই দুই সংগঠনের নেতারা।

ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার অসিত বিশ্বাস বলেন, আমদানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর বেনাপোল বন্দরে বিভিন্ন সংগঠনের কাছে নানান ভাবে হয়রানি হতে হয়। তারা বকশিসের নামে জোর করে টাকা আদায় করে।

এদিকে এই দুই সংগঠনের আকস্মিক ধর্মঘটে সাড়া দেয়নি ওপারের বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন। তাদের সঙ্গে কথা না বলে হঠাৎ করে ধর্মঘট ডেকে ব্যবসা বাণিজ্যে জটিলতা সৃষ্টি করছে বলে জানান ওপারের সিএন্ডএফ এজেন্টরা। দুপুরের পর ওই দুটি সংগঠনের নেতারা নিজেরাই আবার বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করাচ্ছে।

বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতারা জানান, ওপারের ট্রাক মালিক ও ট্রান্সপোর্ট মালিকরা দিনের পর দিন কৃত্রিম সংকটে ফেলে বাংলাদেশে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক বিভিন্ন স্থানে পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করে। তারা একটি ট্রাক ১৫ থেকে ২০ দিন আটকিয়ে রেখে ডেমারেজ চার্জ (প্রতিদিন ভারতীয় এক হাজার টাকা) আদায় করতো বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ওপারের প্রশাসনের নজরে বিষয়টি আসার পর এখন আর কোন ট্রাক ভারতীয় টার্মিনাল বা পার্কিংয়ে এক দিনের বেশি থাকছে না। এ কারণে ট্রাক মালিক ও ট্রান্সপোর্ট মালিকদের বড় একটি আয়ের খাত (অর্থ) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠনের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধের পাঁয়তারা করছে। আর বিষয়টি বুঝতে পেরে ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন তাদের সমর্থন করছে না।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, সকাল ৮টা থেকে হঠাৎ করে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রাখে ভারতীয় ট্রাক চালকরা। আবার বিকেল তিনটার দিকে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসছে ভারতীয় ট্রাক চালকরা। কি কারণে এই ৭ ঘন্টা বন্ধ ছিল তা আমরা জানি না। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পণ্য দিলে আমরা অবশ্যই নিব। ২৪ ঘন্টা আমদানি-রফতানি চলে বেনাপোল বন্দরে জানলেন ওই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত