ছেলেধরা সন্দেহে জনরোষ থেকে নারীসহ ৩ জনকে উদ্ধার
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০১৯, ১৮:৫২
পাবনার সর্বত্র ছেলে ধরার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার দুপুরে ১ নারীসহ ৩ জনকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে উদ্ধার করা জহুরুল (৩০) এবং জিয়া উদ্দিন (৩৫) নামক ২ ব্যক্তি রোহিঙ্গা এবং ভাড়ারা ইউনিয়নের দড়িভাউডাঙ্গা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় সোনিয়া (২৩) নামক ওই নারীকে।
সোনিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর গ্রামের মো. মঞ্জুর এর মেয়ে।
পুলিশ জানায়, সোনিয়া ভিক্ষুক এবং ২ রোহিঙ্গা মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে। তারা নিজেদের নাম ছাড়া আর কিছু বলতে পারেনা।
পাবনা থানার ওসি (অপারেশন) হাফিজুর রহমান জানান, সোনিয়া স্বামী পরিত্যক্তা, অসহায় এবং ভিক্ষুক। সে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার ভাড়াড়া ইউনিয়নের দড়িভাউডাঙ্গা গ্রামে ভিক্ষা করতে গেলে তাকে ছেলে ধরা সন্দেহে গ্রামবাসীরা আটক করে মারধোর করে। খবর পেয়ে পাবনা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
ওসি (অপারেশন) হাফিজুর রহমান আরো জানান, একইভাবে দুপুর ১টার দিকে জহুরুল ও জিয়াউদ্দিনকে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রাজাপুরে ঘোরাফেরা করতে দেখলে গ্রামবাসীরা তাদের আটক করে মারধোর করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পাবনা থানার ওসি ওবাইদুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে উদ্ধারকৃতরা কোন ছেলেধরা নয়। জহুরুল ও জিয়াউদ্দিন মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে। তাদের ভাষা পরিষ্কার বোঝা যায়না। তবে তারা রোহিঙ্গা বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া সোনিয়াও ভিক্ষুক। তাদের বিষয়ে আরো তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম এক বিবৃতিতে ছেলে ধরা সন্দেহে কোন গুজবে কান না দেয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, অপরিচিত কাউকে দেখলে বা গতিবিধি সন্দেহজনক হলে পুলিশে খবর দিন। কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ
