ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

কমলনগরের মতিরহাটে ফেরি ঘাট চান ভোলার ডিসি

  কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০১৯, ১৭:৩১

কমলনগরের মতিরহাটে ফেরি ঘাট চান ভোলার ডিসি

নাব্য সংকটের কারণে বিভিন্ন সময়ে ফেরি আটকে চরম উদ্বিগ্ন আর উৎকণ্ঠায় পড়তে হয় ভোলা-লক্ষ্মীপুর (মজুচৌধুরীহাট) নৌ-পথে চলাচলকারী ফেরি ও যাত্রীদের।

তাছাড়া জোয়ারের জন্য অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঝ নদীতে যানবাহন ও যাত্রীবাহী ফেরিকে অপেক্ষা করতে হয়। বছরের বেশিভাগ সময় ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে এমন চিত্র দেখা যায়। ফলে প্রায় বন্ধ হতে যাওয়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ রুটটি সচল রাখতে ও সময় বাঁচাতে এ রুটের লক্ষ্মীপুর অংশের ফেরিঘাটটি লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট ঘাট থেকে পরিবর্তন করে কমলনগর উপজেলার মতিরহাটে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে ভোলা জেলাবাসীর পক্ষ থেকে নৌ-মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক। তিনি গত ১০ জুলাই তারিখে নৌ-মন্ত্রনালয়ে এ আবেদন করেন।

ওই আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ভোলা জেলা একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। ভোলার দুই লাখ মানুষ নানা প্রয়োজনে চট্টগ্রামে অবস্থান করেন। তাদের চট্টগ্রাম যাওয়ার একমাত্র পথ ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-পথ। এ ছাড়া ভোলা জেলার মালবাহী ট্রাক এবং দেশের প্রায় ২১ টি জেলার মালবাহী ট্রাকসমূহ বরিশাল হয়ে এ রুট দিয়ে চট্টগ্রামে যাওয়া আসা করে। এ পথে যাওয়ার একমাত্র বাহন সি-ট্রাক এবং ফেরি। ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী হাট ঘাট পর্যন্ত মাত্র ১-২ টি ফেরি চলাচল করে। উক্ত ফেরিতে সময় লেগে যায় ৩-৪ ঘণ্টা।

এ ছাড়া জনসাধারণের চলাচলের জন্য প্রতিদিন একটি সি-ট্রাক এবং বে-ক্রসিং সনদপ্রাপ্ত দু’টি লঞ্চ আসা-যাওয়া করে। বছরের অন্যান্য সময়ে বে-ক্রসিং সনদবিহীন লঞ্চসমূহ এ রুটে চলাচল করে। কিন্তু ১৫মার্চ থেকে ১৫নভেম্বর পর্যন্ত নদী খুবই উত্তাল থাকে। এ সময়ে সি-ট্রাক বা বে-ক্রসিং সনদপ্রাপ্ত লঞ্চ ছাড়া জনসাধারণ চলাচল করতে পারে না।

লক্ষ্মীপুরের ফেরিঘাটটি মজুচৌধুরীহাটে হওয়ার কারণে ফেরি লক্ষ্মীপুরের পৌছাঁর পরেও নাব্যতার কারণে আরো প্রায় ১ ঘণ্টা সময় বেশি লাগে। কিন্ত শুকনো মৌসুমে ফেরি আটকে ৫-৬ ঘণ্টা সময়ও লেগে যায়।

আবেদনের শেষাংশে ভোলার জেলা প্রশাসক বলেন, মজুচৌধুরীহাট ঘাটের পরিবর্তে মতিরহাটে ফেরিঘাটটি স্থানান্তর করা হলে ১ ঘণ্টা সময় কম লাগবে এবং মাঝ নদীতে ফেরি আটকে যাওয়ার আশঙ্কাও কমবে। তিনি লক্ষ্মীপুরের ফেরিঘাটটি কমলনগরে মতিরহাটে স্থানান্তরসহ এ নৌ-রুটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ জানান।

কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ্ উদ্দিন বাপ্পী বলেন, মতিরহাট থেকে ভোলা যাতায়াতে সময় লাগে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। মজু চৌধুরীর হাট থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কোনো কোনো সময় নদীর নাব্য সঙ্কট ও অন্যান্য সমস্যার কারণে আরো বেশি সময় লাগে। এতে যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

তিনি আরো বলেন, শুধু সময়ই নয়, সাথে অতিরিক্ত জ্বালানিও খরচ হয়। মতিরহাটে ফেরিঘাট স্থাপনের আরেকটি সুবিধা হলো চট্টগ্রামের সাথে ভোলার যাতায়াতের সময় প্রায় ৩ ঘণ্টা কমে যাবে। যাত্রীরা খুব সহজেই চট্টগ্রামে পৌঁছে যাবে। মতির হাট থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে পৌছতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। জেলা শহর থেকে সড়ক পথে ঢাকা-চট্রগ্রামে যাত্রীরা খুব কম সময় ও কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই যেতে পারবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, এ সমস্যা নিয়ে ডিসি কনফারেন্সেও আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এর কার্যকর সমাধান বের করা সম্ভব।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত