ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

পরিবারের দাবি হত্যা, স্ত্রী বলছে আত্মহত্যা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০১৯, ২২:২৫  
আপডেট :
 ৩১ জুলাই ২০১৯, ২২:২৭

পরিবারের দাবি হত্যা, স্ত্রী বলছে আত্মহত্যা

রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়ায় মহসীন চৌধুরী টুলু (৩০) নামে এক যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সকালে এঘটনা ঘটেছে।

নিহতের স্ত্রী তানিয়া পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তার স্বামী জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। তবে মহসীনের ভাইয়ের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে মিরপুর মডেল থানার এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, মহসীনকে হত্যার আলামত পাওয়া যায়নি। তার গলায় দাগ ছিল। তার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ও ভিসেরা পরীক্ষার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তানিয়ার বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে মহসীনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গ্রিলের সঙ্গে ‍ঝুলে থাকতে দেখেন তানিয়া। পরে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মহসীন ঢাকা ওয়াসায় অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তানিয়া ডিওআরপি নামে একটি এনজিওতে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। মাহির নামে তাদের এক সন্তান আছে। তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়।

পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে অফিসের সহকর্মীর পরকীয়া রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন মহসীন। গত ২৮ জুলাই এ নিয়ে তাদের বাসায় বিচারও বসে। ওই বিচারে যে ব্যক্তিকে মহসীন সন্দেহ করছিলেন তিনিও আসেন এবং তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এর দুই দিন পর তিনি আত্মহত্যা করেন বলে তার পুলিশকে জানান তানিয়া।

মহসীনের ভাই হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করেন, তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ, মহসীন তার স্ত্রীর আরেকজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি জেনে গিয়েছিল। এ নিয়ে বিচার-সালিশও হয়েছিল। এরপর পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করা হতে পারে।

হোসেন চৌধুরী জানান, পুলিশ তানিয়ার কাছে জানতে চেয়েছিল, মহসীন কী দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তখন তিনি তার কাছে থাকা ওড়না দেখিয়ে বলেন, সেটি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু আমি ওই ওড়না দেখেছি সম্পূর্ণ আয়রন করা। এছাড়া, তানিয়া পুলিশকে যেসব তথ্য দিচ্ছে সেগুলোতে অনেক গড়মিল রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

তিনি আরো বলেন, মহসীনের গলায় একটি দাগ আমরা দেখেছি। আমাদের ধারণা, তাকে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত