ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

নাজিরপুরে শেখ রাসেল যুবসংঘের জমি বিএনপি নেত্রীর ছেলের দখলে

  পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০১৯, ২২:৩০

নাজিরপুরে শেখ রাসেল যুবসংঘের জমি বিএনপি নেত্রীর ছেলের দখলে

পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক বিএনপি নেত্রীর ছেলে দখল করে নিয়ছেন শেখ রাসেল স্মৃতি যুবসংঘের জমি।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া বাজার সংলগ্ন বলেশ্বর নদীর পশ্চিম পাশের প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ৫০ শতাংশ ওই জমি দখল করে নিয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেত্রী সেলিনা বেগমের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম লিপন শেখ ও তার ৩ সহযোগী।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজম বিপ্লব জানান, ৫/৬ বছর আগে ওই জমিটি রাসেল স্মৃতি যুবসংঘের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্যোগে তাতে মাটি ভরাট করা হয়। এ জন্য সেখানে তখন সাটানো হয়েছিলো রাসেল স্মৃতি সংঘের নামে একটি সাইন বোর্ড। কিন্তু সম্প্রতি ওই জমিটি উপজেলা মাহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকার ছেলে লিপন শেখের নেতৃত্বে ওই সাইন বোর্ড ফেলে তা ব্যক্তিগত কাজে দখল করতে সেখানে ঘর তোলা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই জমিটির সামনে টিনের বেড়া দেয়া। ভেতরে একটি টিনের ঘর।

স্থানীয়রা জানান, মরা বলেশ্বর নদের চরের মূল্যবান পঞ্চাশ শতাংশ সরকারি খাস জমি ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার দলীয় কয়েক নেতার উদ্যোগে শেখ রাসেল স্মৃতি যুবসংঘের নামে সাইন বোর্ড দিয়ে দখল করা হয়। পরে সেখানে স্থানীয় নদের বালু উত্তোলন করে ভরাট করা হয়। আর সেই দলের একজন ছিলেন ওই লিপন।

স্থানীয়রা আরো জানান, উপজেলার মাটিভাঙ্গার তারাবুনিয়া বাজারের পশ্চিম পাশের ওই জমি বাজার সম্প্রসারণের জন্য ভূমি অফিসের উদ্যোগে রাখা হলেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা দখল করে নেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন মাঝি। তার দখলীয় পশ্চিম অংশের জমিই রাসেল স্মৃতি যুবসংঘের নামে দখল করা হয়।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সর্দার জানান, রাসেল স্মৃতি যুবসংঘের ওই জমি দখল করে সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে। ওই জমিটি যাতে রাসেল স্মৃতির নামে বহাল থাকে সে জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লিপন বলেন, আমিসহ ৪ জনে ওই জমিটি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন মজুমদারের কাছ থেকে কিনেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রামানন্দ পাল বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত