ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাঁদাবাজ-মাস্তানদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

চাঁদাবাজ-মাস্তানদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কারওয়ানবাজারে আগে প্রতি মাসে একটা করে খুন হতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধ হয়েছে। চাঁদাবাজিও বন্ধ করেছি। তবে সম্প্রতি এখানে চাঁদাবাজির কিছু কিছু খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, চাঁদাবাজি করলে কারওয়ানবাজার ছেড়ে চলে যান।

রোববার দুপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনবিরোধী সচেতনতামূলক সভা এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারওয়ানবাজারে মাস্তানি-চাঁদাবাজি হতে দেয়া হবে না। যেই চাঁদাবাজি করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোহনা টিভির একজন সিনিয়র সাংবাদিক নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুলশানের ডিসি মোস্তাক আহমেদকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মোহনা টিভির সাংবাদিককে দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য। আশা করছি দ্রুতই তাকে খুঁজে পাব।

মন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে ৬-৭ ফুট শুধু পলিথিনের গার্বেজ। বিদেশ থেকে এক্সপার্ট আনা হচ্ছে। তবুও আমরা পুরোপুরি পারছি না। এর কারণ পলিথিন। ক্যান্সার, কিডনি রোগী কেন বাড়ছে? কারণ পলিথিন। মাছের ভেতরে পলিথিন ঢুকে গেছে। তিমি মাছ যখন ধরা পড়ে কিংবা উপকূলে চলে আসে তখন দেখা যায় পেটে পলিথিন আর পলিথিন। আমাদের বর্তমান সরকার পলিথিনের ব্যাপারে কঠোর পলিথিনবিরোধী আইন করেছে। কিন্তু কেউ আইন মানি না। আমরা এখন কঠোর হবো।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের মূল সমস্যা আমরা গার্বেজ অপসারণ করতে পারছি না, ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, পানি নিষ্কাশন করা যাচ্ছে না। কারণ পলিথিন। পলিথিন যাতে আমরা ব্যবহার না করি সেজন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা পলিথিন আর ব্যবহার করব না। পলিথিন যে ক্ষতি করে সেগুলো যদি বিবেচনায় নেই তাহলে কেউই পলিথিন ব্যবহার করতে পারে না।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত