ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

যৌতুকের মামলায় কিশোর গ্যাং লিডার লেখন গ্রেপ্তার

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৩৮

যৌতুকের মামলায় কিশোর গ্যাং লিডার লেখন গ্রেপ্তার

বউ পেটানো ও যৌতুকের মামলায় কিশোর গ্যাং লিডার ওয়াসিফ বারী চৌধুরী ওরফে লেখন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে শহরের কোটপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা চৌধুরী যুথী কুষ্টিয়া মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই মামলায় লেখনের মা লেভিলোনা চৌধুরী ও তার বোন অওরী এহসান চৌধুরীকেও আসামি করা হয়েছে। মা ও বোনকে পুলিশ খুঁজছে।

ফাতেমা চৌধুরী যুথী বলেন, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী লেখন চৌধুরী মাদকসেবন, বিক্রি ও বাড়িতে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। এসব অপকর্ম থেকে সরানোর বহু চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো আমার ওপর বহুবার নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্যাতনের মাত্রা এতই ভয়াবহ ছিল যে মাঝে মধ্যে আমি অচেতন হয়ে পড়তাম।

মাসখানেক আগে আমাদের সংসারে ফুটফুটে সন্তান জন্ম নেয়। ভেবেছিলাম সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে লেখন আচরণ বদলাবে। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো আমার ওপর যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এমনকি মেরে ফেলারও চেষ্টা করে। তাই বাধ্য হয়েই আইনি সহায়তার জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় লেখনের দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায় রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতোপূর্বে লেখনের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

তিনি জানান, লেখন সাংবাদিক না হয়েও সাংবাদিক পরিচয়ে কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো। ২০০৮ সালের দিকে পর্ণোগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। দীর্ঘসময় কারাগারে থাকলেও পরে কারাগার থেকে বের হয়ে পুনরায় আগের সেই অপরাধের পাশাপাশি চুরি, ব্লাকমেইলসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। সে স্থানীয়ভাবে কিশোরদের একটি গ্যাং পরিচালনা করে।

নানা অপকর্মের কারণে গত বছর তারই মা লেভিলোনা চৌধুরীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন লেখন। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত লেখনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। তবে এবার পর্ণোগ্রাফির পাশাপাশি যুক্ত হন ফেনসিডিল ও ইয়াবা সেবনে।

কথিত রয়েছে পুলিশের এক ডিআইজি’র আত্মীয় পরিচয়ে এই অপকর্মগুলো করে আসছেন লেখন চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত