ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

মোজাফফর আহমদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন, প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৯, ১১:৪৯  
আপডেট :
 ২৪ আগস্ট ২০১৯, ১২:০৭

মোজাফফর আহমদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন, প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মরদেহে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মরদেহ নেওয়া হয়।

জানাজা শেষে তার লাশ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বসস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুরে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বাদ আছর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

রাতে লাশ নেওয়া হবে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদে তার গ্রামের বাড়িতে। আগামীকাল রোববার জানাজা শেষে সকাল ১০টায় নিজ গ্রামে দাফন করা হবে তাকে।

শুক্রবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।

মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।

মুজিবনগর সরকারের ছয়জন উপদেষ্টার মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। এছাড়া ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়।

গত ১৪ আগস্ট অধ্যাপক মোজাফফরকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, ছিলেন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

অধ্যাপক মোজাফফর দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিতসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। এ জন্য ঘন ঘন তাকে হাসপাতালে আনতে হয়েছে। এবারের অসুস্থতা ছিল বেশ গুরুতর। বুকে কফ জমে যাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার।

বাংলাদেশসহ বাম ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনীতিতে কিংবদন্তিতুল্য মোজাফফর আহমদ ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লার দেবিদ্বারের এলাহাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজেকে তিনি সব সময় `কুঁড়েঘরের মোজাফফর’বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন।

মোজাফফর আহমদের রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৩৭ সালে। তিনি ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানস্বরূপ সরকার ২০১৫ সালে তাকে স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করলেও তিনি সবিনয়ে তা ফিরিয়ে দেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত