পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:৫১
পরকীয়া সন্দেহে প্রবাসী স্বামী বাড়ি ফেরার একদিন পরই স্ত্রী তৃষা খাতুনকে (২৩) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চর-ভাঙ্গুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তৃষা ঐ গ্রামের প্রবাসী আতাহার আলীর স্ত্রী ও একই উপজেলার পারভাঙ্গুড়া গ্রামের কোরবান আলীর মেয়ে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী পালিয়ে গেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৪ বছর আগে তৃষা খাতুনের চর-ভাঙ্গুড়া গ্রামের আতাহারের সাথে পরিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর আতাহার মালয়েশিয়া চলে যান। গত শুত্রবার বাড়িতে আসেন এবং তারপর দিনই এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
তৃষার বাবা কোরবান আলী অভিযোগ করে বলেন, তার জামাতা আতাহার আলী ঘটনার দিন তুচ্ছ কারণে তার মেয়ের মাথায় এবং কানের উপর লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত উঠতে থাকে। অবস্থার বেগতিক দেখে আতাহার তার স্ত্রী তৃষার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আতাহারের এক প্রতিবেশী বলেন, বিদেশ থেকে আতাহার আসার পরদিনই কোন স্ত্রী আত্মহত্যা করবে বলে বিশ্বাস হয়নি।
এদিকে তৃষার শাশুড়ি আনজুয়ারা বলেন, তৃষা মোবাইল ফোনে অন্য কারো সাথে কথা বলত। আর এ কথা বলা নিয়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
তৃষার শ্বশুড় শহিদুল ইসলাম জানান, ২৩ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে তার বড় ছেলে মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি আসে। পর দিন শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আতাহার তৃষাকে মারপিটও করে। সেই অভিমানে সে বিষ পান করতে পারে।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হালিমা খানম বলেন, চর-ভাঙ্গুড়া এলাকা থেকে তৃষা নামক এক গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় তার স্বজনরা শনিবার দুপুরের দিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসা হয় এবং ময়না তদন্তের জন্য পাবনা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বলা যাবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই