ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদের দৌড়ে এক ডজন নেতা

  খুলনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০১৯, ১৯:১৪

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদের দৌড়ে এক ডজন নেতা

এখনও প্রাথমিক সদস্য পদের ফরম বিতরণ হয়নি, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সম্মেলনও হয়নি তবুও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরার জন্য প্রবীণ-নবীন মিলিয়ে একডজন নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দুটিকে টার্গেট করে জেলা জুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা। জেলার কোথাও সভা-সমাবেশের ডাক পেলেই সেখানে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। কারণ তৃণমূলের ভোটেই নির্ধারণ হবে তাদের ভাগ্য। এই দৌড়ে তালিকায় সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সূত্রানুযায়ী, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশীদকে সভাপতি ও এসএম মোস্তফা রশিদী সুজাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এর ৯ মাস পর কেন্দ্র থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। তিন বছর মেয়াদি কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই মারা যান। তারপর থেকে সাধারণ সম্পাদকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারী।

জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর চলতি বছরের মে মাসে খুলনার এক ক্লাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নগর জেলা শাখার বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও নগরীর সম্মেলন শেষ করার তাগিদ দেন। এরপর থেকেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন জেলার ১০-১২ জন নেতা। এই লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়। কিন্তু জেলা সভাপতি হজ পালন করতে যাওয়ায় কাজ অনেকটা শিথিল হয়ে যায় বলে জানালেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ।

তিনি বলেন, জেলার সম্মেলনের কাজ শুরু হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে সদস্য ফরম দেয়ার জন্য তালিকা করার কাজ চলছে। প্রতি ওয়ার্ড থেকে দুই শ জন করে নেয়া হবে। এরপর ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তারপর জেলার সম্মেলন। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্মেলন সম্ভব নয়। এদিকে সম্মেলন কবে হবে সেই আশায় বসে থাকতে নারাজ পদ প্রত্যাশীরা। তারা তাদের কাজ অনেক আগেই শুরু করেছেন।

সূত্রানুযায়ী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ প্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএম মুজিবর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মোল্লা জালাল উদ্দিন ও বর্তমান সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র।

সাধারণ সম্পাদকের পদের প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন, বর্তমান কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, যুগ্ম-সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, কেন্দ্রীয় নেতা অসিত বরণ বিশ্বাস, আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি ও আকতারুজ্জামান বাবু এমপি।

অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছি। জেলা আওয়ামী লীগের অনেক পদেই আমি থেকেছি। রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দল যদি বিবেচনা করে আমাকে সাধারণ সম্পাদক করে তাহলে দলের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবো।

কামরুজ্জামান জামাল বলেন, আমি ১৯৮৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জেলা ছাত্রলীগের একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছি। বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছি। সামাজিক অনেক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত আছি। তাই আমি মনে করি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেলে আমি দলকে আরো বেশি বেগবান করতে সক্ষম হবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত