ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘জিয়াউর রহমান খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো’

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৫৮  
আপডেট :
 ৩১ আগস্ট ২০১৯, ২০:০৪

‘জিয়াউর রহমান খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতের নির্মমতার শিকার তৎকালীন মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ছেলে ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি (মন্ত্রী পদমর্যদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বলেছেন, পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই, যেখানে আইন করে হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু ১৫ আগস্ট পরবর্তী সরকার ইনডেমিনিটি করে হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করেছিলো। জিয়াউর রহমান সরকার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে।

১৫ আগস্ট কালোরাতের ৪৪ বছর পর প্রথমবারের মতো বরিশাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সিটি করপোরেশনের সহায়তায় ওই ঘটনার স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা এবং দোয়া-মোনাজাত শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে সভায় দুঃসহ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ওই রাতে মিন্টো রোডের বাসায় গুলিবিদ্ধ হয়েও প্রাণে বেঁচে যাওয়া আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের পুত্রবধূ ও অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক শাহান আরা বেগম বলেন, ঘাতকরা যখন মিন্টোরোডের বাসায় আক্রমণ করে, তখন তার বড় ছেলে শিশু সুকান্ত আবদুল্লাহ কোলে উঠতে চেয়েছিলো। কিন্তু তখনকার ছোট ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ (বর্তমান সিটি মেয়র) কোলে থাকায় শেষবারের মতো সুকান্তকে কোলে নিতে পারেননি। এ সময় ঘাতকরা ব্রাশ ফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্বশুর, ভাসুর, ননদ এবং বড় ছেলেসহ পরিবারের অনেককে হারিয়েছেন।

সভায় অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের এমপি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে তৎকালীন মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের মিন্টো রোডের সরকারি বাসায় বিপথগামী সেনাদের গুলিতে রক্তাক্ত হয়ে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বরিশালের ক্রিডেন্স ব্যান্ডের সদস্য খ ম জিল্লুর রহমান বলেন, ১৫ আগস্ট তার শরীরে একাধিক গুলি বিদ্ধ হয়। এরপর থেকে চিকিৎসা করাতে করাতে তিনি ও তার পরিবার নিঃস্ব। এখনো তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্ত আর্থিক অনটনের কারণে চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে চিকিৎসার সাহায্য চাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশাল-৩ ও ৬ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি যথাক্রমে গোলাম কিবরিয়া টিপু ও নাসরিন জাহান রত্ন আমীন, সংরক্ষিত এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা, বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টের শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত এবং এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক-সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত