ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিস্ময় বালক জারিফ ইকবাল ওয়ালীদ

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:১১  
আপডেট :
 ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:১৫

বিস্ময় বালক জারিফ ইকবাল ওয়ালীদ

জারিফের বয়স মাত্র ৬ বছর। যে বয়সে এক থেকে একশো পর্যন্ত গণনা করতে পারার কথা আর সে বয়সেই সে যোগ, বিয়োগ, গুন ও ভাগসহ যে কোন ধরনের অংক সঠিকভাবে ক্যালকুলেটর বা খাতা-কলম ছাড়াই মুখে মুখে ফলাফল বা উত্তর বলে দিতে সক্ষম। তাইতো স্কুলের শিক্ষকরা তাকে বলেন ক্ষুদে পণ্ডিত।

বিস্ময় বালক জারিফ ইকবাল ওয়ালীদ পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের জাফর ইকবাল মন্টুর ছেলে এবং বনওয়ারী নগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

ছোট এ শিশুটি কারো বয়সের সন, মাস তারিখ বলে দিলেই সে তার বয়স কত বছর, কত মাস, কত দিন মূহুর্তের মধ্যে বলে দিতে পারে।

সে গণিতের পাশাপাশি ভুগোলেও সমান পারদর্শী। যে কোন দেশের নাম বললে সেই দেশেরে রাজধানী, রাজধানীর নাম বললে দেশের নাম এবং সেই দেশের জনসংখ্যা ও আয়তন কত তা তাৎক্ষণিক বলে দিচ্ছে। প্রতিভাবান শিশুটিকে এক নজর দেখতে ও তার সাথে কথা বলতে তার বাড়ি এবং স্কুলে অনেক লোক যাচ্ছেন।

শিশু জারিফ ইকবাল ওয়ালীদের বাবা জাফর ইকবাল মন্টু জানান, তার দুই ছেলে সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে ওয়ালীদের মেধা সৃষ্টিকর্তার বিশেষ দান আর কিছুই নয়। মাত্র ৬ বছরের ছেলেটির গণিতের উপর এত দক্ষতা আমরা কল্পনাও করতে পারি নাই, আমি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ। এলাকার মানুষ এখন ছেলেটাকে ক্ষুদে গণিতবিদ বলে ডাকে। কেউ কেউ বিস্ময় বালক বলে।

বনওয়ারী নগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আব্দুর রব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শিশু ওয়ালীদের গণিতে পারদর্শিতা আমাদের অবাক করেছে। সে চলতি ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আমাদের স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। মেধাবী ছাত্র ওয়ালীদের লেখা-পড়াসহ সার্বিক বিষয় আমরা খোঁজ খবর রাখছি।

ফরিদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল সালেক বলেন, বিষয়টি জানার পর আমার অফিসে শিশুটিকে ডেকে এনে যাচাই বাচাই করে ঘটনার সত্যতা পেযেছি। ওকে এখন এলাকার সবাই ক্ষুদে গণিতবিদ বলে। ওর মেধার ধারাবাহিকতা রক্ষায় যা যা প্রয়োজন করা হবে, ওর স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি এ ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেয়া আছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত