ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রশাসনের নাকের ডগায় বাল্যবিয়ে!

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২৩:৩৫

প্রশাসনের নাকের ডগায় বাল্যবিয়ে!

দেশব্যাপী বাল্যবিবাহ বিরোধী আন্দোলন চলছে। মৌলভীবাজার জেলাকে ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে বাল্যবিবাহ মুক্ত জেলা। এ অবস্থায় প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটা করে জেলার কুলাউড়া উপজেলায় সোমবার দুপুরে সম্পন্ন হয়েছে বাল্যবিবাহ।

উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের তাহির আলী কমিউনিটি সেন্টারে এ বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন নজরে আনলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।

এর আগে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কাজী রফিকুল ইসলাম এ বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন করেন। তথ্যমতে (২ সেপ্টেম্বর) কন্যার বয়স ১৭ বছর ২ মাস ১২ দিন।

জানা যায়, উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সিকন্দর আলীর মেয়ে সেলিনা বেগমের সাথে হাজিপুর ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের ছমদ মিয়ার ছেলে মখছন মিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি বাল্যবিয়ে বলে গুঞ্জন দেখা দিলে কমিউনিটি সেন্টারে তাড়াহুড়ো করে বিয়ের কার্য শেষ করা হয়। এর আগে পৃথিমপাশা কাজী অফিসে গত ২৯ আগস্ট বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন হয়। স্থানীয় করইগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী মেয়ের জন্ম তারিখ ২০/০৬/২০০২।

২০১৩ সালে পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। সে হিসেবে কন্যার বয়স ১৭ বছর ২ মাস ১২ দিন। যে হিসেবে তিনি এখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক।

অন্যদিকে ১৬/০৮/২০১৭ সালের পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দেওয়া জন্মসনদ অনুযায়ী কন্যার জন্ম তারিখ ০১/০১/২০০০ ইং, বই-০২। যা তথ্যগত বিভ্রাট।

পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, কন্যা পক্ষ আমাদের একটি জন্মসনদ দিয়েছে। সে আলোকে বিয়ের কাবিননামা হয়েছে।

জন্মতারিখ বিভ্রাট প্রসঙ্গে জানতে পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খান হাসনাইনের সাথে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি বলেন, সার্টিফিকেট ও টিকার কার্ড দেখে আমরা জন্মসনদ প্রদান করে থাকি। মেয়ের পরিবারকে বলেছি সেই জন্মসনদটি আমার কাছে পাঠাতে। কমিউনিটি সেন্টারে লোক পাঠিয়েছি বিয়ে বন্ধ করার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা ইয়াসমিন বলেন, ভারপ্রাপ্ত ইউএনও স্যার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানার ওসিকে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। বাল্যবিয়ে রোধে আমরা ঘটনাস্থলে স্থানীয় মেম্বার ও গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়েছি। মেয়েটির বিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র ও একটি জন্ম সনদ নিয়ে আমরা সন্দিহান। প্রকৃত অর্থে কোনো সনদটি সঠিক সেটা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত