ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩০ মিনিট আগে
শিরোনাম

২২ দিন ধরা যাবে না ইলিশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:২২

২২ দিন ধরা যাবে না ইলিশ

প্রজনন মৌসুম হিসেবে আগামী ৯ থেকে ৩১ অক্টোবরের পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ পরিবহন, গুদামজাতকরণ কিংবা বিক্রিও সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় মা ইলিশ ডিম পাড়ে। যদিও সারা বছর ডিম পাড়ে তবে এসময়ে ডিম পাড়ে ৮০ শতাংশ ইলিশ। আর এই ডিম পাড়ে মূলত মিঠা পানিতে। তাই আশ্বিনের পূর্ণিমার চারদিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন মোট ২২ দিন দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদীর মোহনাসহ যেসব জেলা ও নদীতে ইলিশ পাওয়া যায় সেখানে মাছধরা নিষিদ্ধ থাকবে।

তিনি আরো বলেন, ইলিশ নিষিদ্ধের সময় যে সব জেলার জেলেরা মাছ ধরার উপর নির্ভরশীল তাদের খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হবে। এসময়ে মাছ পরিবহন, গুদামজাতকরণ, বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। এটা তখন বেআইনি হবে।

খাদ্য সহায়তায় দুর্নীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমি ঢাকা, চট্টগ্রামে চ্যালেঞ্জ করছি। আপনারা নির্দিষ্ট করে দেখান। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যরা তৎপর ছিলেন। স্থানীয় প্রতিনিধিসহ জেলে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের মাছ ধরার ট্রলার আমাদের সমুদ্রসীমা থেকে ইলিশ নিয়ে যায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে বাইরের কোনো জাহাজ আসতে পারে না। আমাদের কোস্টগার্ড নেভির কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছেন। তবে আগে আমাদের কিছু জাহাজ অন্যদের জলসীমায় চলে যেত। কারণ তখন আমাদের জলসীমা নির্দিষ্ট ছিল না।

আশরাফ আলী খান খসরু আরো বলেন, আমরাও এতো শক্তিশালী ছিলাম না। এখন আমাদের জরিপ জাহাজসহ অনেক জাহাজ রয়েছে, হেরিকপ্টার রয়েছে, রাডার রয়েছে- এগুলো আমরা সব সময় ব্যবহার করি। আর সীমানা তো দেয়াল তোলা না। তাই দু’এক মাইল এদিক-সেদিক হতে পারে। আমাদের দেশে যখন মাছ ধরা বন্ধ থাকে তখন বিদেশি কোনো মাছ ধরা ট্রলার আমাদের দেশে ঢুকতে পারে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এর ফলে আমাদের মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। বিশেষ করে ইলিশ মাছের যে আকাল ছিল সেটা কমেছে। ইলিশ মাছে হাট-বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। সমুদ্রসহ নদীর মোহনাগুলোতে মাছের বিচরণ বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী প্রতি বছর আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। আইনটি সংশোধন করে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ২০১৬ সালে বাড়িয়ে ২২ দিন করা হয়। এর আগে, এ সময় ছিল ১৫ দিন। ২০১৫ সালের আগে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ছিল ১১ দিন।

এ আদেশ অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত