ফেসবুকে প্রেম, অতঃপর কারাগারে
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৪ আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:০২
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা পুলিশ ভুয়া ব্যাংকার সেজে বিয়ের নামে প্রতারণা ও টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে নাজমুল হোসাইন সঞ্জু (৩৩) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। ওই প্রতারক লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দেবীপুর এলাকার হারুনুর রসিদের ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লক্ষীপুর জেলার রায়পুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ। নাজমুল হোসাইন সঞ্জু ৮ মাস আগে ভুয়া ব্যাংক কর্মকর্তা সেজে পাটগ্রাম উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার এক স্কুল শিক্ষিকাকে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করেন। এর আগেও একই কৌশলে আরো দুইটি বিয়ে করে মেয়েদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় নাজমুল।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় নাজমুলের। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সর্বশেষ গত ৩ মার্চ দুই জনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নাজমুল হোসাইন সঞ্জু নিজেকে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। পরে বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে নাজমুল মেয়ে ও তার পরিবারের কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
গত ১৬ আগস্ট ভুক্তভোগী পরিবার বুঝতে পারে নাজমুল হোসাইন সঞ্জু প্রতারক। তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এছাড়া তিনি কোনো ব্যংকে চাকরি করে না। ১৯ আগস্ট মেয়ের পরিবার বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় নাজমুল হোসাইন সঞ্জুর বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করেন। পরে পাটগ্রাম থানা পুলিশ লক্ষীপুর পুলিশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাতে লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দেবীপুর এলাকার নাজমুল হোসাইন সঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে।
পাটগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) সুমন কুমার মোহন্ত বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, নাজমুল হোসাইন সঞ্জুর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানাও একটি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। বিয়ে করে মেয়ে ও মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া তার কৌশল। নাজমুল হোসাইন সঞ্জুর এ পর্যন্ত ৩টি বিয়ে করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে