ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

দৈহিক সম্পর্ক শেষে লাপাত্তা প্রেমিক, অনশনে প্রেমিকা

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৭  
আপডেট :
 ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৫০

দৈহিক সম্পর্ক শেষে লাপাত্তা প্রেমিক, অনশনে প্রেমিকা

পাবনার সাঁথিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে আমরণ অনশন করছে রোজিনা নামের এক কলেজছাত্রী। প্রেমিক উপজেলার নাগডেমড়া ইউনিয়নের সোনাতলা নতুন পাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

রোজিনা শাহজাদপুর উপজেলার গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে রোজিনা প্রেমিকের বাবা আবুল কাশেমের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। সে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচ এসসি ১মবর্ষের ছাত্রী। বিয়ে না হলে সে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে।

অন্যদিকে প্রেমিকা আসার খবর পেয়ে প্রেমিক হাসান বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।

কলেজছাত্রী রোজিনার অভিযোগ, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার সোনাতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে হাসানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। দেড় বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাসান তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে।

রোজিনার বাবা রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, এসব বিষয় জানাজানি হওয়ার পর আমাদের পক্ষ থেকে ছেলে হাসানের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু প্রেমিক হাসানের বাবা-মা সম্পর্ক মেনে না নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন। হাসানও পরিবারের দোহাই দিয়ে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায়।

রোজিনা সোমবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বলে, কোনো উপায় না দেখে হাসানের বাড়িতে এসে আমরণ অনশনে বসেছি। আমি এখান থেকে যাবো না। হাসান বিয়ে না করলে এখানে বসেই আত্মহত্যা করবো।

এ বিষয়ে প্রেমিকের বাড়ির লোকজন জানায়, হাসান এই মেয়ের সাথে তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে। তাই মেয়ে পক্ষকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

রোজিনার নানা সিরাজউদ্দিন জানান, বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আমরা ছেলে বাড়িতে গেলে তারা জানায়, ছেলের সাথে মেয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এ কথা বলে আমাদের ফিরিয়ে দেয়। তাই আমার নাতনি বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে গিয়ে উঠতে বাধ্য হয়েছে।

এ ব্যাপারে নাগডেমড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, আমি দুপুরে বিষয়টি শুনেছি। ওই বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছি। পুলিশে খবর দেয়ারও ব্যবস্থা করছি।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সোমবার বিকেলে জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। মেয়েটির বাবা-মাকে ফোনে করে ডাকলেও তারা আসেনি।

তিনি জানান, মেয়েটি তার কথায় অনড়। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত