ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

এবার রাজধানীর ৪ ক্লাবে পুলিশের হানা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৩  
আপডেট :
 ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:২৮

এবার রাজধানীর ৪ ক্লাবে পুলিশের হানা
প্রতীকী ছবি

রাজধানী মতিঝিলের ৪ ক্লাবে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ক্লাবগুলো হলো- আরামবাগ, দিলকুশা, মোহামেডান ও ভিক্টোরিয়া। রোববার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে অভিযান শুরু করেছে তারা।

ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এসব ক্লাবের নিয়ন্ত্রক ছিলেন বলে জানা গেছে।

মতিঝিলের ডিসি আনোয়ার হোসেন বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন ক্লাবে অভিযানের পর বিভিন্ন ক্লাব থেকে জিনিসপত্র এ ক্লাবে এনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এখানে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগও রয়েছে।

এর আগে রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়াংমেন্স ক্লাব ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অভিযানের পরদিন শুক্রবার রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র এবং ধানমণ্ডি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ সময় আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে ধানমণ্ডি ক্লাবের বার ২৪ ঘণ্টার জন্য সিলগালা করা হয়েছে। এ ছাড়া এদিন এজাক্স ক্লাব ও কারওয়ান বাজার মৎস্যজীবী ক্লাব ঘিরে রাখলেও ক্লাব দুটি বন্ধ থাকায় শেষ পর্যন্ত অভিযান স্থগিত করে র‌্যাব।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর নিকেতনে যুবলীগ নেতা ঠিকাদার জিকে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযানের শেষ পর্যায়ে র‌্যাবের আরেকটি দল কলাবাগান মাঠের পাশে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ঘিরে রাখে। এ সময় র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল উপস্থিত ছিলেন।

এর আগেই কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

তিনি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। পরে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গাউসুল আজমের নেতৃত্বে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে সঙ্গে নিয়ে এসে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান শুরু করে র‌্যাব।

অভিযান শেষে র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন। তিনি জানান, রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো, জুয়ার আড্ডা ও বারের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানো হচ্ছে, এরই চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কলাবাগান ক্লাবে অভিযানটি চালানো হয়।

অভিযানে বেশ কিছু জুয়া খেলার কয়েন, প্লেয়িং কার্ডের ৫৭২টি সেট, আটশ’ হলুদ রঙের ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়। ক্যাসিনোর সরঞ্জাম এখানে ছিল না। তবে ক্যাসিনোতে ব্যবহার করা হয় এমন কয়েন পাওয়া গেছে।

আশিক বিল্লাল বলেন, জব্দ হওয়া ইয়াবাগুলো প্রচলিত ইয়াবা থেকে আলাদা ধরনের। এর কোনো গন্ধ নেই। অস্ত্র ও ইয়াবাগুলো ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলমের অফিস কক্ষ থেকে পাওয়া গেছে। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

ক্লাব থেকে হারুন, আনোয়ার, হাফিজুল ও লিটন নামে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা ক্লাবের স্টাফ। এদের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনসহ একাধিক মামলা করা হবে।

ধানমণ্ডি ক্লাবের বার সিলগালা : এদিন রাতে ধানমণ্ডি ক্লাবে অভিযান শেষে র‌্যাব-২ এর এসপি মো. শাহাবুদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ধানমণ্ডি ক্লাবটি বন্ধ থাকায় দু’একজন স্টাফ ছাড়া কেউ ছিল না।

তিনি বলেন, এ ক্লাবের একটি বার রয়েছে। তবে ক্লাবটি বন্ধ থাকায় রেজিস্টারের সঙ্গে বারের অনুমোদন অনুযায়ী লিকারের স্টক মিলাতে পারিনি। তাই র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজম ক্লাবটির বার ২৪ ঘণ্টার জন্য সিলগালা করে দিয়েছেন।

এসপি মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্লাবের লোকজনের কাছ থেকে স্টকের হিসাব নেব। রেজিস্টার অনুযায়ী লিকারের স্টকের অসঙ্গতি থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বারের লিকারের গোডাউন বন্ধ থাকায় আমরা ভেতরে যেতে পারিনি।

জানা গেছে, ধানমণ্ডি ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি দুদকের আইনজীবী।

এছাড়া এদিন রাত ৮টার দিকে এজাক্স ক্লাব ও কারওয়ান বাজার মৎস্যজীবী ক্লাব ঘিরে রাখেন র‌্যাব সদস্যরা। ক্লাব দুটির ভেতরে কেউ না থাকার কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা পর অভিযান না চালিয়ে র‌্যাব সদস্যরা চলে যান সেখান থেকে।

এর আগে বুধবার বিকালে গুলশান ২ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বাসা এবং ফকিরাপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবে একযোগে অভিযান চালায় র‌্যাব।

ওই এলাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর আহমেদ টাওয়ারে গড়ে তোলা ক্যাসিনোতেও অভিযান চালায় র‌্যাব।

অভিযানে ক্লাবগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ দেশি ও বিদেশি টাকা, অস্ত্র ও নেশাজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য জব্দ করা হয়। গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ নেতা খালেদকে।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত