ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে প্রাধান্য পাবে তিস্তা-এনআরসি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০১৯, ২০:৩১

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে প্রাধান্য পাবে তিস্তা-এনআরসি

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্ত হত্যা এবং আসামের নাগরিকপঞ্জির বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, এই সফরে ১০ থেকে ১২টি চুক্তি হবে।

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, সংস্কৃতি বিনিময়, কারিগরি সহযোগিতা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে ১৫টির বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে এনআরসি (নাগরিকপঞ্জি) ও অমীমাংসিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচন হবে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আমরা আলোচনা করবো।

উভয়পক্ষের সীমান্তরক্ষীদের সহযোগিতায় চোরাচালান বন্ধের মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। এছাড়া দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ভারতের ভেতরে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস দমন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতি, সার্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চুক্তি, বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর এন্টি-ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার নিয়েও আলোচনা হবে।

ভারতের মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার নিয়ে চুক্তির ওপর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করছেন তারা।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে যোগাযোগ তৈরিতে বিবিআইএন মটর ভেহিকেল চুক্তি এবং জ্বালানি খাতে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপন এবং আগামী বছর যৌথ উদ্যোগে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন নিয়েও আলোচনা হবে।

আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও ভারতের সমর্থন চাইবে বাংলাদেশ।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, নৌপথে পণ্য পরিবহন, অর্থনৈতিক, সমুদ্র গবেষণা, মান নির্ধারক সংস্থা, বাণিজ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা নিয়ে চুক্তি সই হবে।

এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে এই রাষ্ট্রীয় সফর করছেন শেখ হাসিনা এবং ৩-৪ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম আয়োজিত ইন্ডিয়ান ইকোনোমিক সামিটে ‘প্রধান অতিথি’ থাকবেন তিনি।

জানা যায়, তিন দিনের ভারত সফরে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়া দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন তিনি।

সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি বিরোধী দলীয় নেতা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও দেখা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত