ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

এএসপি পরিচয় দিয়ে কারাগারে মাছ ব্যবসায়ী

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ২২:৪০

এএসপি পরিচয় দিয়ে কারাগারে মাছ ব্যবসায়ী

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেমেকহা) পুলিশের সহযোগীতায় চিকিৎসা সুবিধা পেতে এএসপি পরিচয় দিয়ে ফেঁসে গেছেন এক মাছ ব্যবসায়ী। মনিরুজ্জামান মনির নামে ওই অভিযুক্তকে শুক্রবার রাতে আটক করে পুলিশ।

মনির শরিয়তপুরের জাজিরা ইউনিয়নের কাজীয়ার চর এলাকার মো. মাসলেমের ছেলে। সে নিজেকে কিশোরগঞ্জের এএসপি পরিচয় দেয়।

মেডিকেলের ইনচার্জ এসআই নাজমুল হুদা জানান, শুক্রবার বিকেলে মনির মেডিকেলে তার এক আত্মীয়কে ভর্তি করে। এ সময় মেডিকেলে দায়িত্ব পালনকারী কনস্টেবল তৌহিদুলের ইসলামের সাথে দেখা হলে মনির নিজেকে কিশোরগঞ্জের এএসপি পরিচয় দেয় এবং তার আত্মীয়ের চিকিৎসা সেবায় সহযোগীতা করার আদেশ দেন। কনস্টেবল তৌহিদ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভেবে মনিরের রোগীর কাছে গিয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়।

এদিকে মনির এএসপি কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাকে (এসআই নাজমুল) অবহিত করে। আমিও মনিরের রোগীর খোঁজখবর নেয়া শুরু করি। একপর্যায়ে মনির বদলি হয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা আসার কথা বললে বিষয়টি সন্দেহ হয়। একজন এএসপি কিভাবে বাকেরগঞ্জে আসতে পারে। কারণ উপজেলা পর্যায়ে এএসপি’র কোনো পদ নেই।

সন্দেহ তীব্র হলে বিষয়টি মনিরকে বুঝতে না দিয়ে নজরদারি শুরু করি। একপর্যায়ে মনির কনস্টেবল তৌহিদকে নাস্তা খাওয়ার কথা বলে মেডিকেল ক্যান্টিনে না নিয়ে বাহিরের রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। আর আমি কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর নিয়ে মনির নামে কোন এএসপি না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হই।

পরে সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে সিটিএসবি’র এসআই সগির হোসেন কিশোরগঞ্জের এসপি’র সরকারি নম্বর চাইলে মনির দিতে ব্যর্থ হয়।

পরে বিষয়টি উপ-পুলিশ কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞাকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষণিক মনিরকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কোতোয়ালী থানায় জিজ্ঞাসাবাদে মনির মাছ ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে উপ-পুলিশ কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত