ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাগল না পেয়ে বাবুর্চিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটালেন পীর

  বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ২০:২৩  
আপডেট :
 ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৩৪

বাবুর্চিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটালেন পীর

বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া দরবার শরীফ ও ইয়াতিমখানার এক বাবুর্চিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে পীরসাহেব শাহ মো. মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের বিরুদ্ধে।

আহত বাবুর্চি আব্দুল করিম এ ঘটনার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার মোকমিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

জানা গেছে, মোকামিয়া দরবার শরীফ হাফেজিয়া মাদরাসা ও ইয়াতিমখানায় জনৈক ভক্ত মানতের একটি ছাগল প্রদান করেন। ইয়াতিমখানার পীরসাহেব শাহ মো. মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসকে না দিয়ে বিক্রি করে ওই টাকা দিয়ে ইয়াতিমখানার জন্য চাল, ডাল ক্রয় করেন। ছাগল না পেয়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ অক্টোবর দুপুরে ইয়াতিমখানার বাবুর্চি আব্দুল করিমকে তার কক্ষে ডেকে নেন। বাবুর্চিকে পীরসাহেব তার পায়ের কাছে মাটিতে বসিয়ে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পেটান। এতে বাবুর্চি মারাত্মকভাবে আহত হয়। ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ করলে মেরে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। আহত বাবুর্চি স্থানীয় চিকিৎসকদের নিকট চিকিৎসা নেন।

বাবুর্চিকে র্নিমমভাবে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় বিচার চেয়ে গত ৮ অক্টোবর সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বরাবরে আবেদন করেন। আবেদন পাওয়ার পর ওই দিনই রাত সাড়ে ৮টায় মোকামিয়া ইউনিয়ন কার্যালয়ে এমপি রিমন মোকামিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।

এমপি রিমন বলেন, বাবুর্চিকে পেটানোর ঘটনায় আমি নিন্দা জানাচ্ছি। একজন পীরসাহেবের পক্ষে এমন জঘন্য কাজ করা ঠিক হয়নি। এ ঘটনার সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। তিনি আরো বলেন, সকলের সহযোগিতা পেলে এ দরবার ও মাদরাসার দুর্নীতি বন্ধ করা হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, দরবারের টাকায় পীরসাহেব আলিসান বাড়ি বানিয়ে জীবন-যাপন করছেন। পীরসাহেব সবসময় ব্যক্তিগত আরাম আয়েশে ব্যস্ত থাকেন। অথচ মাদ্রাসার কোনো খোঁজ খবর নেন না। দরবারের মসজিদটি আজো জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

এ বিষয়ে পীরসাহবে শাহ মো. মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস বলেন, আমার মুরিদ আমার বিষয়ে অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করায় তাকে জিজ্ঞাসা করেছি এবং ধমক দিয়েছি। আমি তাকে মারব কেন। মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এ বি এম গোলাম কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, বেতাগী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার ঢালী, যুগান্তর প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ইরান, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বি এম আদনান খালিদ মিথুন।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত