ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

এক নেতাকে পেটালো আরেক ছাত্রলীগ নেতা

এক নেতাকে পেটালো আরেক ছাত্রলীগ নেতা

গ্রুপিংয়ের জের ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হাতুড়িপেটা ও ছুরিকাঘাতে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক হোসেন শরীফ মনিরসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে উপজেলার রহিমাবাদ বি-ব্লক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গাউসসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক হোসেন শরীফ মনির এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গাউসের মধ্যে গ্রুপিং চলছিল। মনির ও গাউস উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামানের ছত্রছায়ায় চলেন।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বি-ব্লক এলাকায় পূর্বের জের ধরে উভয় গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে ধাওয়াা-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে একই এলাকায় হোসেন শরীফ মনির গ্রুপের সদস্য উপজেলা ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আবু নাহিয়ানকে মারপিট করে গাউস গ্রুপের সদস্যরা। খবর পেয়ে বিকেলে মনির গ্রুপ পাল্টা অ্যাকশনে গেলে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারপিট ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

হোসেন শরীফ মনির বলেন, গাউস ও বেল্লালের উপস্থিতিতে আবু নাহিয়ানকে মারপিট করা হয়। শামীম, নাহিদ, হিমেল ও মিজানসহ ২৫-৩০ জন লাঠি, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে আমাকে এবং আমার গ্রুপের ছেলেদের ওপর হামলা করে। শামীম হাতুড়ি দিয়ে আমার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং অন্যদেরকেও হাতুড়িপেটা করে। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করলে পালিয়ে যায় তারা।

তবে বেল্লাল হোসেন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। গাউসের সঙ্গে মনিরের দ্বন্দ্ব। মনির দলবল নিয়ে গাউস ও তার গ্রুপের লোকজনকে তুলে নিতে গেলে উভয়ের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় মনির গ্রুপের ছুরিকাঘাত ও মারপিটে গাউস গ্রুপের নাহিদ ও মিজান গুরুতর আহত হয়।

শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, দলীয় কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেনি। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।

শাজাহানপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক বলেন, উভয় পক্ষের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত