ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

চৌহালীতে ১৯২ জন হতদরিদ্র পেলেন পাকা বাড়ি

  সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৫৬

চৌহালীতে ১৯২ জন হতদরিদ্র পেলেন পাকা বাড়ি

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ‘জমি আছে ঘর নাই প্রকল্প’ এর আওতায় ৬ ইউনিয়নে ১৬৬ জন টিনের ঘর ও ২৬ টি দুর্যোগ সহনীয় দালানের বাসগৃহ পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে গৃহহীনদের জন্য এসব পরিবারে টিন ও দালান ঘর নির্মাণের দায়িত্ব পালন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

মাত্র এক লাখ টাকায় মেঝে পাকা একটি টিনের ঘর, বারান্দা ও একটি পাকা টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। আর ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকায় দালান, রান্না ঘর ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এই কাজে সার্বিক তদারকি করেছের চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহির ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মজনু মিয়া।

উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নে ২২টি, স্থল ইউনিয়নে ৩০টি, ঘোড়জান ইউনিয়নে ২৩টি, খাষকাউলিয়া ইউনিয়নে ২৩টি, খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নে ৩৪টি, বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ৩৪টি গৃহহীন পরিবারকে এ ঘর করে দেয়া হয়েছে। যেসব পরিবারের ভিটেবাড়ি ও ৩ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে; কিন্তু মাটি কিংবা বেড়ার ঘর তাদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, দুর্গম চৌহালী উপজেলার ১৯২ টি গৃহহীন পরিবার কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি তারা পাকা ঘরে ঘুমাবে। গৃহহীন পরিবারগুলো পাকা ঘর পেয়ে দারুণ খুশি।

দালানঘর পাওয়া খাষকাউলিয়ার নজরুল ইসলাম জানান, তিনি অন্যের বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করেন। মাত্র ২.৫০ শতক ভিটা-বাড়ি আছে। আর কোনো জমি নেই। প্রধানমন্ত্রী যে তার ঘর বানিয়ে দিয়েছেন তাতে তিনি অনেক খুশি।

খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের শারীরিক প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম ও আবুল কাশেম জানান, অকর্ম জীবন নিয়ে কোনো দিন স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি পাকা দালান ঘরে ঘুমাতে পারব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন, এজন্য কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি।

চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু তাহির জানান, প্রধানমন্ত্রীর আমার গ্রাম, আমার শহর গ্রাম হবে এই স্লোগান বাস্তবায়নে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় টেকসই গৃহনির্মাণে সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে চৌহালী উপজেলায় ১৬৬ জন গৃহহীন পরিবারকে টিনের মেঝে পাকা ও ২৬ পরিবারকে পাকা দালান ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘরের মেজে পাকা উপরে টিন এবং একটি পাকা টয়লেট নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। টিনের প্রতিটি ঘর ও টয়লেট তৈরি করতে এক লাখ টাকা করে ব্যয় করা হয়েছে। আর পাকা দালান তৈরীতে ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত