ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া’ বলায় সেই অধ্যক্ষ বরখাস্ত

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:২৬

‘প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া’ বলায় সেই অধ্যক্ষ বরখাস্ত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বলে বক্তব্য দেয়ায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গুমানতলি ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মুহিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে কেন তাঁকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না- এই মর্মে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য লিখিতভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সকাল ১০টায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি একে ফজলুল হকের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে ৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত রোববার (১৩ অক্টোবর)। গতকাল ছিলো দুর্যোগ প্রশমন দিবস। এ উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৬৪ জেলায় একযোগে দুর্যোগ প্রশমন ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাতক্ষীরার গুমানতলি ফাজিল মাদ্রাসায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে একটি ভবন।

ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে মাদ্রাসার নতুন ভবনে আয়োজন করা হয় আলোচনাসভার। কিন্তু সভায় আকস্মিক ঘটে বিপত্তি। অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মহিদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধন করেন। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষমা চেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন অধ্যক্ষ।

এই ঘটনার একদিন পর আজ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি একে ফজলুল হক জানান, খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধন করে বক্তৃতা দেয়ায় অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মহিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না- এই মর্মে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। মাদ্রাসা অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তিনি বলতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের সময়ে মাদ্রাসায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। কথাটি শেষ করার পূর্বেই প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাম বলায় সকলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি কথাটি শেষ করতে পারেনি।

এ বিষয়ে জানতে মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মুহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত