ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

৪৩ ক্যাসিনো হোতার বিপুল সম্পদের খোঁজ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:১৩  
আপডেট :
 ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:১৬

৪৩ ক্যাসিনো হোতার বিপুল সম্পদের খোঁজ

রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনায় সিদ্ধহস্ত হিসেবে ‘খ্যাতি’ রয়েছে পাঁচজনের। ক্লাবগুলোতে রাতবিরাতে যাতায়াতকারীদের কাছে এই পাঁচজন ‘ক্যাসিনো পঞ্চপাণ্ডব’ কিংবা ‘ক্যাসিনো গুরু’ হিসেবে পরিচিত। আবার অনেকে তাদের ‘ক্যাসিনো মোগল’ হিসেবেও চেনেন।

তবে ‘ক্যাসিনো মোগল’ ছাড়াও ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত ৪৩ জনের দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরইমধ্যে মালয়েশিয়ায় যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ফ্ল্যাট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে। গত এক সাপ্তাহে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পায় দুদক।

গত সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সাথে বৈঠক হয় র‌্যাব এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট -বিএফআইইউ-এর মহাপরিচালকের সাথে। ক্যাসিনোয় জড়িতদের বিষয়ে দুদককে বেশ কিছু তথ্য দেয় র‌্যাব এবং বাংলাদেশ ব্যাংক।

দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত জানান, ‘ইতোমধ্যে ৪৩ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের সম্পদের বিবরণী নেয়া হচ্ছে।’

অনুসন্ধানে সম্রাটের মালয়েশিয়ার আমপাং তেয়ারাকুণ্ডতে ফ্ল্যাটের তথ্য পেয়েছে দুদক। মালয়েশিয়া সরকারের সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাট কিনেন সম্রাট। এছাড়া মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকেও তার লেনদেনের তথ্য রয়েছে।

সম্রাট ছাড়াও ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত ৪২ জনের তথ্য এখন দুদকের অনুসন্ধান টেবিলে। ক্যাসিনোর পাশাপাশি তারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে।

মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত জানান, ‘সম্পদের আয়ের উৎস যদি সঠিকভাবে না পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা এবং মানি লন্ডারিংয়ের মামলা হতে পারে।’

ক্যাসিনোর মাধ্যমে যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত