ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঘর থেকে ত্রাণের টিন খুলে দিলেন চেয়ারম্যান

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৫৫  
আপডেট :
 ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১১:০০

ঘর থেকে ত্রাণের টিন খুলে দিলেন চেয়ারম্যান

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পর নিজের ঘর থেকে ত্রাণের ঢেউটিন খুলে ভুক্তভোগীকে দিলেন আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী। এ সময় একটি সাদা কাগজে ওই ভুক্তভোগী একরামুল হকের স্বাক্ষর নেন চেয়ারম্যান।

তবে ঢেউটিনগুলো ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সরবরাহকৃত ত্রাণের টিন নয় বলে দাবি ভুক্তভোগীর। ফলে ভুক্তভোগী ভ্যানচালক একরামুল হক রোববার রাতে প্রকৃত টিন ফেরত না দেয়া ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার বিষয়ে আদিতমারী থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে উপজেলা ত্রাণ অফিস থেকে নামুড়ি গ্রামের একরামুল হকের নামে ১৬ টি ত্রাণের ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই টিন পলাশী ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী নিজের বাড়িতে ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে ওই ভ্যান চালকের নামে একটি সোলার প্যানেল বরাদ্দ নিয়ে চেয়ারম্যান নিজের কাজে ব্যবহার করেন।

সেই টিন ও সোলার চাইতে গেলে আজ না কাল বলে ঘোরাতে থাকেন ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী। অবশেষে নিরুপায় হয়ে টিন ও সোলার উদ্ধার করতে ভ্যান চালক একরামুল গত ৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি জানতে পেয়ে নিজেকে বাঁচাতে পলাশী ইউপি চেয়ারম্যান কৌশলে ওই ভ্যান চালককে রোববার বাড়িতে ডেকে নিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ব্যবহৃত ১২টি ঢেউটিন ফেরত দেন।

তবে সেগুলো ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সরবরাহকৃত টিন নয়। ফেরত দেওয়া ঢেউটিনে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিলমোহর নেই। এ ঘটনায় প্রকৃত ত্রানের টিন ও সোলারসহ স্বাক্ষর নেওয়া সাদা কাগজটি উদ্ধার করতে রোববার রাতে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দেন ওই ভ্যান চালক একরামুল হক।

ভ্যানচালক একরামুল হক বলেন, টিন দিতে চেয়ে দেড় বছর আগে আমার স্বাক্ষর নেন চেয়ারম্যান। সেই টিন এখনও পাইনি। আজ দেই কাল দেই বলে দেড় বছর চলে যওয়ার পর আমি বিভিন্নস্থানে অভিযোগ করি। এরপর বাড়িতে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান ১২টি টিন দিয়ে জোরপূর্বক সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর নেন। কিন্তু ফেরত দেওয়া টিন ত্রাণের নয়, হালকা টিন। ত্রাণের টিন ও সোলারসহ স্বাক্ষর নেওয়া সাদা কাগজটি উদ্ধার করতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

আদিতমারী উপজেলা পিআইও মজিদুল ইসলাম বলেন, ত্রাণ শাখার সরবরাহ করা ঢেউটিনে ত্রাণের সিলমোহর দেওয়া রয়েছে এবং টিনগুলো ৪৪ মিলি গ্রামের।

পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত আলী ত্রাণের টিন আত্মসাতের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, দেড় বছর আগেই প্রাপ্তিস্বীকার নিয়ে ত্রাণের ঢেউটিন একরামুলকে দেওয়া হয়েছে। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আদিতমারী থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত