ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

থানায় পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

  রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:৫৩  
আপডেট :
 ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:৫৯

থানায় পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

আটকের কয়েক ঘণ্টা পর রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ভেন্দাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, ১ জন এসআই এবং ৪ জন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার এলাকাবাসীর আন্দোলনের মুখে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, পুলিশ ফাঁড়িতে আটক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, আটক ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এ নিয়ে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন গ্রামবাসী। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ রাবার বুলেট ও গুলি চালায়। এতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে এএসপিসহ আট পুলিশ সদস্য রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

বুধবার সকাল পৌনের ৯টার দিকে ভেণ্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র আসামির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে নামেন গ্রামবাসী। এ ঘটনায় দুপুর আড়াইটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তেজনা চলছিল।

নিহত শামসুল হক পীরগঞ্জের শান্তিপুর মির্জাপুর এলাকার মৃত মফিজউদিনের ছেলে।

রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ জানান, শামসুল হককে চোলাইমদসহ মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকাল পৌনের ৯টার দিকে হাজতের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গায়ের ফতুয়া দিয়ে তার ফাঁস দেয়া মরদেহ দেখা যায়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ রাবার বুলেট ও গুলি করে। এতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের স্থানীয় হাসপাতালসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ডি সার্কেল হাফিজুর রহমানসহ আট পুলিশ আহত হয়েছেন।

পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, শামসুল ইসলাম তার পরনের ফতুয়া দিয়ে গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু গ্রামবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে শামসুল ইসলামকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করেছিলেন। ওই সময় গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।

পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টি এ এম মোমিনের নেতৃত্বে পীরগঞ্জ থানায় শামসুল ইসলামের লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ইউএনও জানিয়েছেন, সুরতহালে লাশের দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত