ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

আমরণ অনশনে নন-এমপিও শিক্ষকরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৪১  
আপডেট :
 ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ২১:০০

আমরণ অনশনে নন-এমপিও শিক্ষকরা

স্বীকৃত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি, এমপিও নীতিমালা সংশোধন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন এমপিওভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (নন-এমপিও) শিক্ষক-কর্মচারীরা।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘোষণা দেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আমাদের পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিয়েছে। এর প্রতিবাদে আগামীকাল (শুক্রবার) বাদ জুমা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তার ফুটপাতে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করব।

তিনি বলেন, এ কর্মসূচি শুরুর আগে আমাদের অবস্থান ধর্মঘট পালিত হবে। ফুটপাতের ওপর বসে আমরা জুমার নামাজ আদায় ও মোনাজাত করব। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা অমরণ অনশন শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গত তিনদিন ধরে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারের আমলারা নিজেদের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুল তথ্য তুলে ধরছেন। আমাদের মানবেতন জীবন যাপন ও অসঙ্গতিপূর্ণ নীতিমালার সার্বিক বিষয় তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার দাবি নিয়ে ৩২ বারের মতো রাজপথে নেমেছি। জনমাতার সাক্ষাৎ পেলে নন-এমপিও শিক্ষকদের সকল দুঃখ-দুর্দশা কেটে যাবে।

বৈষম্যপূর্ণ এমপিও নীতিমালা সংশোধন, স্তর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করার দাবিতে গত তিনদিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কের ফুটপাতে বসে শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমপিওভুক্তির জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও সায় দেওয়া হয়েছে। এখন যেকোনো সময় এমপিওভুক্তির ঘোষণা হতে পারে।

এমপিওভুক্ত হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে মাসে মূল বেতন ও কিছু ভাতা পান। বর্তমানে সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় পাঁচ লাখ। স্বীকৃতি পেলেও এমপিওভুক্ত না হওয়া প্রতিষ্ঠান আছে সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো। আর স্বীকৃতি না পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে আরও কয়েক হাজার।

সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত