প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা চেষ্টা
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৪৪
গভীর রাতে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বিবাহিত প্রেমিক। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন রশি কেটে প্রেমিক স্বপন নুনিয়াকে জীবিত উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, এভাবেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে স্বপন নুনিয়া ইতিপূর্বে আরো ৫টি পরিবারের ক্ষতি করেছে। তবে এবার অবশ্যই বিষয়টি থানা অবধি গড়িয়েছে। প্রেমিক ও প্রেমিকাকে আটক করে থানা নিয়ে যায় পুলিশ।
বুধবার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগানের পশ্চিম লাইন শ্রমিক বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে।
মাধবপুর চা বাগান সূত্রে জানা যায়, এ চা বাগানের ইউপি সদস্য সুমিত্রা বালা নুনিয়ার ছেলে স্বপন কুমার নুনিয়া বিবাহিত হলেও পশ্চিম লাইন শ্রমিক বস্তির রামু রবিদাসের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ের (শান্তি রবিদাস) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিকভাবে মেলামেশা করছিল। বুধবার রাতে এভাবে অনৈতিক মেলামেশার কারণে (শান্তি রবিদাসের) স্বজন ও চা শ্রমিকরা তাদেরকে আটক করে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর রাতে প্রেমিকা (শান্তি রবিদাস) প্রেমিক স্বপন নুনিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে গ্রহণ করে নেয়ার জোর দাবি জানালে স্বপনের মা ইউপি সদস্য সুমিত্রা বালা নুনিয়া ধমকিয়ে তাকে ফেরত পাঠান। এরপর প্রেমিক স্বপন নুনিয়া প্রেমিকার (শান্তি রবিদাসের) বাড়িতে গিয়ে তার কক্ষেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি কমলগঞ্জ থানায় খবর দিলে ভোর ৫টায় উপ-পরিদর্শক ফরিদ মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল প্রেমিক ও প্রেমিকা দু’জনকেই থানায় নিয়ে যান।
মাধবপুর চা বাগানের শ্রমিকরা জানান, স্বপন কুমার নুনিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ইতিপূর্বে আরো ৫টি পরিবারের ক্ষতি করেছে। সে ইউপি সদস্যের ছেলে বলে ভয়ে কেউ তার প্রতিবাদ করে না।
মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, চা বাগানে সামাজিক প্রথা খুবই শক্ত। এ ঘটনাটি দুই সম্প্রদায়ের সমাজপতি ও প্রতিনিধিরা সামাজিক বৈঠক করে সমাধান করার চেষ্টা করছেন।
কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ফরিদ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় মুচলেখার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কোনো পক্ষই কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন না। তারা চা বাগানে সামাজিক বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন। তাই এ ঘটনায় আইনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে