ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঘুষের টাকা না দেওয়ায় থানায় নির্যাতন

  নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:১০  
আপডেট :
 ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:১৩

ঘুষের টাকা না দেওয়ায় থানায় নির্যাতন

ঘুষের টাকা না দেওয়ায় নরসিংদীর মনোহরদী থানায় বিল্লাল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় শনিবার নরসিংদী পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত। ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন মনোহরদী উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে।

লিখিত অভিযোগে বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীর বড় ভাই কাউসার মিয়ার সঙ্গে তার প্রতিবেশী মজনু ও হোসেন মিয়ার জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। দীর্ঘদিনের এ বিরোধ মীমাংসার জন্য পরামর্শ চাইতে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মনোহরদী থানার এসআই সোহেল রানার কাছে যায়। ওই সময় এস আই সোহেল রানা কাগজপত্র দেখে জমি দখলে নিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।

ঘটনাটি জমির মালিক কাউসার মিয়াকে জানালে তিনি ৫০ হাজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে টাকার অঙ্ক কমিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান।

পরে আবার এসআই সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাজি না হওয়ায় তারা বাড়ি ফিরে যায়। পরে ওই দিন রাতেই পুনরায় মনোহরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালামের কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বললে তিনি শুক্রবার সকালে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন।

আবুল কালামের কথা অনুযায়ী শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিল্লাল হোসেন, কাউসার মিয়া, সবুজ মিয়া, প্রতিবেশী মোস্তফা হোসেনকেসহ সকল কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তিনি কাগজপত্র যাচাই করে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

এ সময় থানার অপারেটর জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়ে অভিযোগ লেখার সময় এসআই সোহেল রানা থানায় প্রবেশ করে কৃষকদের অভিযোগ লেখাতে দেখে উত্তেজিত হয়ে যান। আবুল কালামের কাছে অভিযোগ দায়ের করার কথা শুনে তিনি আরও ক্ষেপে গিয়ে বিল্লাল হোসেনকে চর-থাপ্পড় মারতে থাকেন।

এ সময় বিল্লালের আত্মীয় কাউসার মারতে নিষেধ করায় তাকেও একই কায়দায় মারতে থাকেন। তাদের সঙ্গে থাকা সবুজকেও মারতে আসেন এস আই মীর সোহেল রানা। এ সময় সবুজ দৌড়ে পালানোর সময় তাকে পেছন দিক থেকে ধাওয়া করেন এসআই সোহেল রানা। এ সময় তাদেরকে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর হুমকি দেন এস আই সোহেল রানা।

পরে বিচার প্রার্থীদের চিৎকার শুনে পাশের রুম থেকে ওসি তদন্ত আবুল কালাম দৌড়ে আসেন এবং সোহেল রানার কাছে ভুক্তভোগীদের মারার কারণ জানতে চাইলে সোহেল রানা কোনো উত্তর না দিয়েই থানা থেকে বের হয়ে যান।

এ ঘটনায় পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জানান,এসআই সোহেল রানা তাদের সাথে রাগারাগি করতে দেখে ধমক দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসি।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, বিষয়টি সকালে শুনেছি। এটি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে এসআই মীর সোহেল রানা মুঠোফোনে জানান, ভুক্তভোগীদের সাথে সামান্য একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত