ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিলো পুলিশ

যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিলো পুলিশ

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাবিবুর রহমান (২৩) নামে এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে চালান দেয়ার অভিযোগ করেছেন ওই যুবকের বাবা শহিদুল ইসলাম। রোববার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে শহিদুলের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে হাবিবুর রহমানের ছোট বোন ফারিয়া সুলতানা ময়না। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাবিবুর রহমানের মা পারুল বেগম ও হাবিবুরের দুই ভাই মাহবুব ও জিসান আহমেদ।

লিখিত বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত গরিব। ফুটপথের হোটেল ব্যবসায়ী। আর্থিক সমস্যার কারণে কর্মচারী রাখতে না পারায় আমি আমার ছেলে এবং স্ত্রী মিলে বাঘারপাড়ার খাজুরা বাজারে একটি ক্ষুদ্র খাবার হোটেল চালাই। গত ১৫ অক্টোবর বুধবার তার ছেলে হাবিবুর রহমানকে (২৩) গ্রামের বাড়ি ইন্দ্রা গ্রামে বর্গা জমিতে সেচ দেয়ার জন্য পাঠাই। এদিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে খাজুরা বাজার তেলপাম্পে পৌছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলামের নির্দেশে এএসআই হযরত আলী তার ছেলেকে আটক করেন।

তিনি জানিয়েছেন, খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জের সাথে একটি পুরনো সোফা সেট কেনা নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। কয়েক দিন আগে পাশের ফার্নিচার ব্যবসায়ী লিটন সোফা সেটটি বিক্রি করার কথা বললে কম মূল্যে সেটি কিনি। সেদিন রাতে ক্যাম্প ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম আমাকে ফোন করে ক্যাম্পে যেতে বলেন। আমি যেতে না চাইলে তিনি আমাকে বলেন সোফা সেটটি আমি নিচ্ছি। এ ব্যাপারে কোনো কথা বললে ফল ভালো হবে না। বিষয়টি আমলে না নেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নির্দোষ ছেলেকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে বেদম মারপিট করে। এসময় ইনচার্জের মোবাইলে ভিডিও অন করে আমার ছেলের হাতে ৫০ পিচ ইয়াবা দিয়ে ব্যবসায়ী ও সেবনকারী হিসেবে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়েও রাতভর তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় পুলিশ।

লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, পরদিন সকালে থানায় গেলে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন ও খাজুরা ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম থানার বকশী নাছিমার মাধ্যমে আমাকে সিড়ির নিচে ডেকে নিয়ে এক লাখ টাকা দিলে আমার ছেলেকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানায়। আমি গরিব মানুষ। আমার পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় আমানুষিক নির্যাতন করে আমার নিরীহ ছেলেকে মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। আমার এবং আমার ছেলে সম্পর্কে এলাকার কোনো লোকই খারাপ কিছু বলতে পারবে না। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত