ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

মসজিদের দানবাক্সে এবার দেড় কোটি টাকা

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:২৭

মসজিদের দানবাক্সে এবার দেড় কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে পাঁচটি লোহার দানবাক্স রয়েছে। প্রতি তিন মাস পরপর বাক্সগুলো খোলা হয়। এবার দানবাক্স খুলে সবার চক্ষু চড়কগাছ!

মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে নগদ ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা। একইসঙ্গে পাওয়া গেছে স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারসহ বিদেশি মুদ্রাও।

শনিবার বিকালে গণনা শেষে এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও অন্যবারের চেয়ে পরিমাণে বেশি পাওয়া গেছে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি দানবাক্সগুলো থেকে সর্বোচ্চ এক কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় মসজিদ মাদরাসার ৬০জন ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুপ কুমার ভদ্র প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ টাকা গণনার কাজ পর্যবেক্ষণ করেন।

এ সময় সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। টাকা গণনার এই এলাহী কা- নিজ চোখে অবলোকন করতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ মসজিদে ছুটে যান।প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। কথিত আছে, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনোবা া পূর্ণ হয়। সেজন্য দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এখানে দান করে থাকেন।

টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এছাড়া ডলার, রিয়ালসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা স্বর্ণালঙ্কার পাগলা মসজিদের দান বাক্সে জমা পড়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত