ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

জেএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে অর্থ আদায়

  বাউফল(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১২:২৬  
আপডেট :
 ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৩১

জেএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে অর্থ আদায়
ছবি-সংগৃহীত

বাউফলে জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রেখে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে।

একাধিক সূত্র জানায়, আগামী শনিবার (২ নভেম্বর) থেকে সারাদেশে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। বাউফল উপজেলায় মোট ৯টি কেন্দ্রে ৪৬৭৫ জন এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। মোট ৬১টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সমুদয় অর্থ নেয়া হয়েছে। তারপরও বর্তমানে প্রায় সকল বিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র আটকে রেখে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।

নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, একটি প্রবেশপত্র বাবদ ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। টাকা না দিলে প্রবেশপত্র দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা প্রবেশপত্র বাবদ ১৫০ টাকা করে আদায় করছি। প্রবেশপত্র বিতরণের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা নেয়ার জন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা আছে কি না এমন প্রশ্নের তিনি ইতিবাচক জবাব দেন।

ছোট ডালিমা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মাহাবুব আলম বলেন, ‘প্রবেশপত্র আটকে রেখে টাকা আদায় করার কথটি সঠিক নয়, আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক প্রবেশপত্র বাবদ ১৫০ টাকা এবং স্কুলের বকেয়া বাবদ আরো ১৫০ টাকা করে নিয়েছি।’

গাজিমাঝি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।’

তবে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন প্রবেশপত্র বিতরণের ক্ষেত্রে টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমাদের স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বকেয়া টাকা পাওনা আছে। এখন সেই টাকা আদায় করছি।’

মধ্য মদনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নুরাইনপুর অগ্রণী বিদ্যাপীঠ ও মদনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, প্রবেশপত্র আটকে রেখে টাকা আদায় করা হচ্ছে।

মদনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রের খরচ সামাল দেয়ার জন্যই আমরা প্রবেশপত্র বিতরণের সময় টাকা আদায় করছি।’

বাউফল উপজেলা শিক্ষক সমিতির আহবায়ক ও ছিটকা মহসীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম নিশু বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু হয়নি।’

তবে প্রবেশপত্র বিতরণের সময় টাকা নেয়ার নিয়ম আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই সারা বছর বেতন দেয় না। তাই প্রবেশপত্র বিতরণের সময় আমরা বকেয়া টাকা আদায় করি।’

এবিষয়ে বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবেশপত্র আটকে রেখে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার কোন সুযোগ নেই। এভাবে টাকা নেয়া হলে অবশ্যই তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত