নানার লালসায় অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৪০ আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৫
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। ঘটনা জানাজানি হলে পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত আমিনুল ইসলামকে (৩৫) আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। আমিনুল সম্পর্কে ওই ছাত্রীর দূর সম্পর্কের নানা।
শনিবার আদালতের মাধ্যমে আমিনুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়।
ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের পাল্টাপুর মাঝাপাড়া গ্রামের মৃত হাসিম উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৫) পাল্টাপুর মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদেরকে জানায়।
পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আজাদকে বিষয়টি জানায়। আজাদ বিষয়টির সত্যতা যাচাই এবং আইনি পরামশের্র জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শুক্রবার স্থানীয়ভাবে আলোচনার আয়োজন করেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে বীরগঞ্জ থানার এসআই আলন চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমিনুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এর আগে এ ধরনের আরো একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়, শুধু টাকার জোরে সে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে।
ছাত্রীর বাবা জানান, অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম তার প্রতিবেশী এবং দূর সম্পর্কে মামাশ্বশুর। আত্মীয়তার সূত্রধরে আমিনুল ইসলামের বাড়িতে তার মেয়ে যাতায়াত করত। এক সপ্তাহ আগে মেয়েটি তার মাকে বিষয়টি খুলে বলে।
বীরগঞ্জ থানার এসআই আলন চন্দ্র রায় জানান, সংবাদ পাওয়া মাত্রই পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি সাকিলা পারভিন জানান, এ ব্যাপারে ছাত্রীটির বাবা বীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রীটির শারীরিক পরীক্ষা এবং অভিযোগের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে