ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে কম্বল দিলো বিএবি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৪৬  
আপডেট :
 ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১২:০০

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে কম্বল দিলো বিএবি

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস- বিএবির সদস্য ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে কম্বল প্রদান করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে গণভবনে শীতার্তদের জন্য বিএবি’র সদস্যভুক্ত ৩৬টি ব্যাংক ২৭ লাখ কম্বল দেয়।

উক্ত কম্বল প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) সভাপতি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানসহ অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ারম্যানবৃন্দ।

এ সময় ব্যাংকের শীর্ষ কর্তাদের সৎভাবে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক নিয়ে বিভিন্ন কথা লেখা হচ্ছে। তবে যাদের ধারণা আছে তারা এত বেশি লিখবেন না। এটাও ঠিক যে, অনেকে অনেক উদ্দেশ্য নিয়ে লেখেন। আমি বলব যে, এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আপনারা যেহেতু অনেক বেশি কাজ করেন, তাই জনগণের আপনাদের কাছে প্রত্যাশা বেশি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই। যদি আপনারা সৎভাবে ব্যাংকগুলো পরিচালনা করেন তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।’

ব্যাংক খাতের বিকাশে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জনগণের মধ্যে ব্যাংক ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি এবং তারা বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যাংক ব্যবহার করছে। যেমন ভর্তি (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে), স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি গৃহ নির্মাণ কাজে। রাষ্ট্রায়াত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক উভয়ই এর থেকে সুবিধা পাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার আমলে বেসরকারি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শাখা খোলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সাথে করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এগুলো আগে কখনও ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘কিছু মহল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর অলাভজনক শাখা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিল। বিশ্ব ব্যাংক এই জাতীয় প্রেসক্রিপশন দিয়েছিল। কিন্তু আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি তখন আমরা প্রেসক্রিপশনটি গ্রহণ করি নাই, কারণ সমস্ত অঞ্চলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সমান নয়। যেসব অঞ্চলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেশি, ব্যাংকগুলো সে অঞ্চলে মুনাফা অর্জন করবে এবং যেসব অঞ্চলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কম রয়েছে সেখানে মুনাফা করতে পারবে না। আমি পুরো বিষয়টা নিয়েই হিসেব করব। কাজেই আমি ব্যাংকগুলো কেন বন্ধ করব, বরং আমি ব্যাংকের ব্যবহার সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষা দেব। আর এজন্যই আমরা ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ সৃষ্টি করেছি।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিএবি চেয়ারম্যান জানান, আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন সামনে রেখে বেসরকারি ব্যাংকগুলো নিজ নিজ ব্যাংকে একটি ‘মুজিব কর্ণার’ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত