ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

শীতের সবজিতে সচ্ছল রাজবাড়ীর কৃষকরা

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৭

শীতের সবজিতে সচ্ছল রাজবাড়ীর কৃষকরা

রাজবাড়ী জেলা কৃষিপণ্য আবাদের অন্যতম স্থান। প্রতিবছরই জেলার ৫টি উপজেলায় কৃষি পণ্য হিসেবে নানা ধরনের সবজি আবাদ হয়ে থাকে। এ বছরও রাজবাড়ীতে সবজির আবাদ হয়েছে প্রচুর।

গত বছরের তুলনায় এ বছর সবজির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বাজার দর ভালো থাকায় এ বছর কৃষকেরা নানা জাতের সবজি বিক্রি করে গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি লাভবান হচ্ছেন। অনেক কৃষক লাখ টাকা বিনেয়োগ করে সবজি বিক্রি করে আয় করছেন খরচের কয়েক গুণ।

রাজবাড়ীর ৫টি উপজেলাতেই প্রচুর পরিমাণে সবজি আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে সদর, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলাতে আবাদ বেশি হয়। শীতকালীন সবজির মধ্যে পটল, বেগুন, ফুল কপি, বাঁধা কপি, লাউ, শিম, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, মূলা, টমেটোসহ হরেক রকম সজবি রয়েছে।

এ বছর সবজির বাজার দর ভালো থাকায় কৃষকেরা ভালো লাভবান হচ্ছেন। কেউ কেউ পটল ও কপি চাষ করেই খরচের চাইতে লাভবান হচ্ছেন কয়েক গুণ। ভালো লাভবান হওয়ায় দিন দিন সবজির আবাদ বাড়িয়েছেন কৃষকেরা।

বালিয়াকান্দি জামালপুরের সবজি চাষি ফজলু মোল্লা জানান, গত বছর তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছিলেন। একবার চাষ করে তিনি পরপর দুই বছর এ গাছ থেকে ফলন পাচ্ছেন। সাড়ে তিন বিঘা জমিতে পটল চাষ করতে খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার কিছু বেশি। এ পর্যন্ত তিনি ৫ লাখ টাকার পটল বিক্রি করেছেন। আরো ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার পটল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

তিনি সবজি চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছেন। এই সবজি বিক্রি করে সংসার ও ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। সবজি চাষ করে তাদের পরিবার এখন সচ্ছল।

আতিকুল শেখ একই এলাকার আরেক সবজি চাষি। তিনি বলেন, ৭ বিঘা জমিতে তিনি শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। তারও সব মিলিয়ে এক লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে কপি চাষ করে। তিনি এ পর্যন্ত ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার কপি বিক্রি করেছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৫০ মণ কপি আবাদ হয়। প্রতি কেজি কপি শুরুতে বিক্রি করেছেন ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা করে। বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ৩০ টাকায়। ফলন ভালো হয়েছে, বাজার দরও ভালো থাকায় সবজি চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছেন তারা। তবে সবজি আবাদ করে তাদের খরচ বাদ দিয়ে বারো আনাই লাভ।

তবে কোনো কোনো কৃষক কৃষিপণ্য আবাদে সার ও কীটনাশকের দাম বেশি থাকায় তাদের ফসল উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে বলে জানান।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি ফজলুল রহমান তিনি বলেন, রাজবাড়ীতে সব ধরনের সবজি আবাদ হয়ে থাকে। কৃষকেরা আগাম সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। রাজবাড়ীতে এ বছর ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে এর চাষ হয়েছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৭ শত ৭৫ হেক্টর জমিতে। এবছর সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন।

জেলার বালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন স্থানে আগাম সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। কৃষকদের বিভিন্ন কৃষি কর্মকর্তারা সবজি চাষে পরামর্শ প্রদান করছেন তাদের কৃষিপণ্য আবাদে। তবে সবজি আবাদের প্রথমে বন্যায় কৃষকদের কিছুটা ক্ষতি হলেও বাজর দর ভালো থাকায় তা পুষিয়ে নিতে পারছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত